কাবুল: তালিবান দখল নিয়ে নিয়েছে গোটা আফগানিস্তানের এবং প্রাণ বাঁচাতে যে যার মত চেষ্টা করছেন দেশ ছেড়ে পালাতে। এটাই এখন আফগানিস্তানের বাস্তব চিত্র। ইতিমধ্যে অনেকে দেশ ছেড়ে পালাতে সক্ষম হয়েছেন কিন্তু বহু মানুষ রয়েছেন যারা ওতটা ভাগ্যবান নন। কিন্তু তারা সবাই নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া তালিবানের থেকে। সেই কারণে আতঙ্কে জর্জরিত হয়ে অনেকেই পাক-আফগান সীমান্তে জড়ো হয়েছেন যাতে কোনো ভাবে পাকিস্তানে ঢুকে নিজের প্রাণ বাঁচানো যায়। কিন্তু সেখানে গুলি চালিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে তিন জনের, এমনই খবর এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্র পাওয়া গিয়েছে। ভিডিও সত্যতা যাচাই করেনি আজ বিকেল।
আরও পড়ুন- তালিবানি শাসন, দেশের আকাশ দেখা হল না আফগান শিশুর
জানা গিয়েছে, তালিবানি আতঙ্কে এখন প্রবল ভিড় কাবুল বিমানবন্দরে। যদিও সেখানে জোড়া বিস্ফোরণ ঘটায় আতঙ্ক আরও বেড়ে গিয়েছে সাধারণ আফগানিদের মধ্যে। তাই নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য তাদের মধ্যে অনেকেই ভিড় জমিয়েছে পাক-আফগান স্পিন বলডাক সীমান্তে। কিন্তু সেখানে আফগানিদের ওপর গুলি চালিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বলে খবর। ইতিমধ্যেই তিনজন আফগান শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। যদিও ঠিক কী কারণে গুলি চালানো হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। এদিকে আবার পাক সরকারের তরফে সমস্ত হোটেলকে ফাঁকা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কারণ সেখানে আফগান শরণার্থীদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এরই মধ্যে গুলি চলার খবর এবং মৃত্যুর ঘটনা অবশ্যই ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
This is not #Kabulairport, this is Spin Boldak border where thousands of people wants to flee Afghanistan to Pakistan. The situation here is far worse than the situation at #KabulAirport but because there are no foreign forces here, it has not been covered by the media. pic.twitter.com/LrUuXk1JSv
— Natiq Malikzada (@natiqmalikzada) August 25, 2021
আরও পড়ুন- কাবুল বিমানবন্দরের আত্মঘাতী বিস্ফোরণ, এলোপাথাড়ি গুলি, বহু মৃত্যুর আশঙ্কা
তালিবানের মদতদাতা হিসাবে বারবার উঠে এসেছে পাকিস্তানের নাম৷ তালিবানকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছে ইসলামাবাদ৷ এদিকে, কার্যত পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে সিলমোহর দিয়েছেন তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ৷ পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠতার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি৷ কোনও রকম রাকঢাক না করেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, পাকিস্তান তাদের ‘দ্বিতীয় ঘর’৷ সেই সঙ্গে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কৌশলগত সম্পর্ক সুদৃঢ় করার শপথও নেন তিনি৷