পরকীয়া! মাঝরাতে প্রেমিকার ঘরে ঢুকে এলোপাথাড়ি কোপ প্রেমিকের, রেহাই পেল না মা-বাবাও

পরকীয়া! মাঝরাতে প্রেমিকার ঘরে ঢুকে এলোপাথাড়ি কোপ প্রেমিকের, রেহাই পেল না মা-বাবাও

 কলকাতা: প্রেমিকা বিবাহিত৷ স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কও রয়েছে৷ তবুও তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল ওই যুবক৷ প্রমিকার বাড়িতে ছিল নিত্য যাতায়াত৷ কিন্তু হঠাৎই একদিন তাল কাটল৷  প্রেমিকার পরিবার তাকে জানিয়ে দেয়,  সে যেন আর কখনও এ বাড়িতে পা না দেয়। কিন্তু, নিষেধ উপেক্ষা করেও সেদিন ফের প্রেমিকার বাড়িতে ঢুকল প্রেমিক। তাও আবার মাঝরাতে। বদলা নিতে৷ রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকেই প্রেমিকাকে এলোপাথাড়ি কোপ বসাল সে। রেয়াত করলেন না তাঁর বাবা-মাকেও। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল বেধেছে নদিয়ার পলাশিপাড়ার ধাওয়াপাড়া এলাকায়।  এক রাতে খুন আদিবাসী পরিবারের বাবা-মা ও মেয়ে। 

আরও পড়ুন- ‘বিজেপির মজ্জায় ক্যানসার, অপারেশন না হলে বাঁচবে না,’ ফের টুইট বোমা তথাগতর

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে ওই তরুণীর বাবা ডোমন মণ্ডল ও মা সুমিত্রা মণ্ডল সহ প্রেমিকা মালা মণ্ডলের গলার নলি কেটে নৃশংস ভাবে খুন করে ওই যুবক৷ এলোপাথাড়ি কোঁপানোও হয় তাঁদের৷ শরীরের বিভিন্ন অংশে মিলেছে ক্ষতের চিহ্ন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই নারকীয় হত্যা৷ 

মালার বিয়ে হয় বছর দেড়েক আগে। তবে তাঁর স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। তাই বাপের বাড়িতে মা-বাবার সঙ্গেই থাকতেন মালা৷ স্বামীর অনুপস্থিতিতেই স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। মালার বাপের বাড়িতে প্রায়শ যাতায়াত ছিল তাঁর প্রেমিকের৷ কিন্তু সম্প্রতি তাঁর স্বামী বিষয়টি জানতে পেরে প্রবল আপত্তি জানান৷ বাপের বাড়ির লোকজনও মালার এই সম্পর্কে আপত্তি তোলেন। এমনকী ওই যুবককেও তাঁদের বাড়িতে আসতে সরাসরি মানা করে দেন মালার বাবা৷ পুলিশ মনে করেছে এখানেই যত রাগ৷ প্রেমে বাধা পেয়েই খুন করে সে৷ অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে চিরুণি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, তিনজনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য  শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কেন এত বড় পদক্ষেপ করল ওই যুবক? মনোরোগ বিশেষজ্ঞ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কেবল খুন করার জন্য খুন নয়, এর পিছনে থাকতে পারে প্রবল প্রতিশোধস্পৃহা। খুনের ধরন দেখে অন্তত সেটাই মনে হচ্ছে।’’ মনোবিদের কথায়, এই প্রতিশোধস্পৃহা আসলে এক রকমের মানসিক ব্যাধি।