ক্যান্সার আক্রান্ত শিক্ষিকার বেতনে কোপ, প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ডের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

ক্যান্সার আক্রান্ত শিক্ষিকার বেতনে কোপ, প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ডের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

2d961ce9f885bba135d048d8cd50738c

কলকাতা:  ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ছুটি মঞ্জুর করেছিল বোর্ড৷ কিন্তু বেতন কাটার সুপারিশ করেন প্রধান শিক্ষক৷ মামলা হয় হাই কোর্টে৷ সেই মামলাতেই তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷  স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিলেন তিনি৷ 

আরও পড়ুন- স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরালেই ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ ব্যবস্থা, কড়া বার্তা মমতার

ব্লাড ক্যান্সার ধরা পরার পর চিকিৎসার জন্য ছুটি নিয়েছিলেন শিক্ষিকা সুনীতা শর্মা৷ চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থেরও প্রয়োজন হয় তাঁর৷ বোর্ডের তরফে ছুটি মঞ্জুর হওয়ার পরেও প্রধান শিক্ষক বেতন কেটে নেওয়ায় তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন৷ এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সরকারি আইনজীবী এবং মামলাকারীর আইনজীবীকে নিজের চেম্বারে ডেকে পাঠান৷ সেখানে দুই পক্ষের বক্তব্য দীর্ঘ সময় ধরে শোনার পর প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন৷ এবম এ ক্ষেত্রে যা যা পদক্ষেপ করা প্রয়োজন রাজ্য সরকারকে তা করার কথাও বলেন তিনি৷ 

অভিযোগ, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিনের পর স্পেশাল লিভ বা বিশেষ ছুটি পাওয়া থেকে শিক্ষিকাকে বঞ্চিত করেছেন। ২০০৯ সালের রোপা আইন অনুযায়ী সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন শিক্ষিকা। এমনকি তাঁর বেতন কেটে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠছে।

হুগলির ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়া মহাত্মা গান্ধী হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন সুনীতা শর্মা। তিনি আরও জানান,  তাঁর গ্রেড পে বৃদ্ধির বিষয়টিও আটকে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। ২০১৬ সাল থেকে তিনি বঞ্চিত হচ্ছেন৷ ওই বছরই দক্ষিণ ভারতে চিকিৎসা করাতে গেলে তাঁর ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে। বর্তমানে টাটা ক্যানসার সেন্টারে চিকিৎসা চলছে তাঁর। চিকিৎসার জন্য স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেই কিছু না জানিয়েই শিক্ষিকার বেতন থেকে ৮ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষিক তাঁকে বলেন, স্কুলে দেরি করে আসায় তাঁর টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। এদিকে বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী ক্যানসারের মত মারণ রোগে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে সবেতন বিশেষ ছুটির সুবিধা রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ একাধিবার সেই ছুটির জন্য আবেদন করলেও তিনি বঞ্চিত হয়েছেন। তাঁর আশঙ্কা ছিল, ফের ছুটি নিতে পুনরায় তাঁর বেতন কেটে নেবেন প্রধান শিক্ষক৷