কলকাতা: রাজ্য শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পড়ে গেলেন বড় অস্বস্তিতে। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই মামলার শুনানিতে কার্যত মুখ পুড়ল তাঁর। রাজ্য শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। শুনানিতে পরিষ্কার জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট!
আরও পড়ুন- গরুপাচার মামলার পর ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় কেষ্টকে তলব CBI-এর
কী কারণে মামলা করেছিলেন তিনি? কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচন কমিশন রাজ্যে আট দফার ভোট ঘোষণা ও পরিচালনার জন্য বহু শিশুর ক্ষতি হয়েছে। করোনা আক্রান্ত শিশুদের কাছে সঠিক সময়ে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি। শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু শিশুর প্রাণ গিয়েছে। এমনই ছিল অভিযোগ। সেই প্রেক্ষিতেই ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের থেকে। এই মর্মেই অভিযোগ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান অনন্যা চক্রবর্তী। সম্প্রতি সেই মামলার রায়ে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, নিজেদের হাতে থাকা ক্ষমতার প্রয়োগ না করে একটি আর বহির্ভূতভাবে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কমিশনের চেয়ারপার্সন।
আদালতের বক্তব্য, কমিশনের হাতে প্রচুর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও শিশু মৃত্যুর কোনও রকম কারণ খুঁজতে তাদের হাতে দেওয়া ক্ষমতার ১৩, ১৪ এবং ১৫ নম্বর ধারা প্রয়োগ করা হয়নি। অর্থাৎ শিশু মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান না করে বা কমিশনের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক না করেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন চেয়ারপারসন। তিনি নিজের অধিকার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। তাই মামলাটি ‘প্রিম্যাচিওর’ বলে জানায় আদালত এবং সেটিকে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।