ওয়াশিংটন: ২০ বছর আগে ঠিক এই দিনাতেই আমেরিকার বুকে ভয়াবহ সন্ত্রাসের ইতিহাস লিখে দিয়েছিল আল কায়েদা৷ নারকীয় হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ৷ এই সন্ত্রাসবাদী হামলার মূলচক্রী ছিল বিশ্বত্রাস ওসামা বিন লাদেন৷ সেই সময় লাদেনের আশ্রয় ছিল আফগানিস্তান৷ তাঁকে খুঁজে পেতেই সে দেশে হানা দিয়েছিল মার্কিন ন্যাটো বাহিনী৷ আর মার্কিন বাহিনীর আক্রমণের জেরেই ক্ষমতা হারিয়েছিল তালিবান৷
আরও পড়ুন- সালেহর ভাইকে নৃশংস হত্যা তালিবানের, দেহ পচতে ফেলে রাখা হল
শেষ হয়ে গিয়েছে আমেরিকার ‘মিশন আফগানিস্তান’৷ দেশে ফিরে এসেছে মার্কিন সেনা৷ আর দুই দশক পর আফগানিস্তান ফিরে গিয়েছে সেই তালিবানের দখলে৷ কিন্তু ৯/১১-র স্মৃতি উস্কে আজকের দিনটিই তারা বেছে নিয়েছিল আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হিসাবে৷ তবে শেষ পর্যন্ত আমেরিকা ও আন্তর্জাতিক মহলের চাপে অনুষ্ঠান বাতিল করে দেয় তালিবান৷ টুইন টাওয়ারে সেই ভয়াবহ হামলার স্মৃতির ক্ষতে নুন ছেটাতেই হয়তো আজকের দিনটি বেছে নেওয়া হয়েছিল৷ তবে সেই ভয়ঙ্কর দিনের স্মৃতি ভোলেনি আমেরিকা৷ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আজ বলেন, ‘‘সেই ভয়াবহ জঙ্গি হানায় যাঁরা স্বজন হারিয়েছিলেন, তাঁদের পাশে আমেরিকা আছে এবং থাকবে৷’’
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর৷ দিনটা ছিল মঙ্গলবার৷ আর পাঁচটা দিনের মতোই সে দিনের সকালটা হয়েছিল৷ কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সব ওলট পালট হয়ে যায়৷ লেখা হয় আমেরিকার ইতিহাসে এক অভিশপ্ত অধ্যায়৷ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে নারকীয় হামলা চালায় আল কায়েদা৷ লন্ডভন্ড হয়ে যায় টুইন টাওয়ার৷ শত শত মানুষের হাহাকার, স্বজন হারা কান্না বুকে নিয়ে আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে গ্রাউন্ড জিরো৷ এই গ্রাউন্ড জিরোতেই ছিল মার্কিনদের গর্বের ওয়ার্ল্ডট্রেড সেন্টার৷ ১১০ তলার বিশাল বাড়ি৷ পাশাপাশি মাথা উঁচি করে দাঁড়িয়েছিল দুটি বাড়ি৷ একটির উচ্চতা ১,৩৬৮ ফুট৷ অন্যটি সামন্য ছোট৷ ২৮ বছর ধরে এই দুই বাড়িকে কেন্দ্র করেই এগিয়ে চলেছিল মার্কিন ব্যবসা-বাণিজ্য৷ কিন্তু ৯/১১-র অভিশপ্ত সকালে সব কিছু শেষ হয়ে যায়৷
আরও পড়ুন- মেয়েদের কাজ শুধু জন্ম দেওয়া! তালিবানি মুখপাত্রের মন্তব্যে হইহই
সেই ভয়াবহ স্মৃতি মনে করে আজও শিউড়ে ওঠে মার্কিনরা৷ দুঃস্বপ্নের মতো তাঁদের তাড়া করে ৭৬৭ বোয়িং বিমান৷ যে বিমানের চালকের আসনে বসেছিল আল-কায়েদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ আটা৷ মুহূর্তের মধ্যে ধুলোয় মিশে গিয়েছিল মার্কিন সাম্রাজ্যের গর্ব৷ সেই ঘটনার স্মৃতি বুকে নিয়েও ফের মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে গ্রাউন্ড জিরো৷ তবে সেখানে নতুন যে বিল্ডিংটি তৈরি হয়েছে তা টুইন টাওয়ারের মতো অতো বড় নয়৷ মাথা তুলে ফলাও করেন না মার্কিন অহং৷