কলকাতা: রাজ্যপালকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য পদ থেকে সরাতে চায় সরকার। রাজ্যের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার একটি প্রস্তাব বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত হয়েছে। আর এই খবর সামনে আসতেই শুরু হইচই। সাধারণ মানুষের মধ্যে তো বটেই, আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলেও। রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ ইতিমধ্যেই করে ফেলেছে বিজেপি শিবির। মমতার প্রশাসনকে চরম কটাক্ষ করেছেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন- তিলোত্তমাকে দূষণ মুক্ত করতে হবে! ‘ডেডলাইন’ বানিয়ে ফেলল রাজ্য
এদিন বিজেপি নেতা দাবি করেন, স্বাধীন অঙ্গরাজ্য বলে নিজেদের ভাবতে শুরু করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সাংবিধানিক যে প্রধান তাঁকেই তারা মানছে না। এরপর যখন রাজ্যপাল এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করবেন, অনুমোদন দেবেন না, তখন রাজ্য সরকার অধ্যাদেশ জারি করবে। এই সিদ্ধান্তকে নজিরবিহীন আখ্যা দিয়ে দিয়েছেন শমীক। তিনি এও বলেছেন, বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একজনই মালকিন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যা বলবেন, তাই হবে, তাই হচ্ছে। যদিও হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হল সেই ব্যাপারেও নিজের মতো যুক্তি দিয়েছেন বিজেপি নেতা।
শমীকের কথায়, শিক্ষা ক্ষেত্রে যে কঙ্কালসার চেহারা বেরিয়ে পড়েছে রাজ্যের, যেভাবে একের পর এক মন্ত্রী সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখিন হচ্ছেন, তাতে মুখ পুড়ছে রাজ্য প্রশাসনের। তাই সেই ইস্যু থেকে সাধারণ মানুষের নজর ঘুরিয়ে দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সংবিধান না মেনেই কাজ করছে রাজ্য সরকার, বলে তোপ শমীক ভট্টাচার্যের। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, ‘পশ্চিমবঙ্গে যত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, তার আচার্যপদে রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীর নাম রাজ্যের মন্ত্রিসভা সর্ব সম্মতভাবে গ্রহণ করেছে। এটা বিধানসভায় বিল হিসেবে পেশ করা হবে। তারপর আইন হিসেবে কার্যকর হবে।’