নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপুঞ্জে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তুলোধনা করল ভারত। সন্ত্রাসবাদ ইস্যু থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীর, সব ক্ষেত্রেই এদিন মুখ পুড়ল পাকিস্তানের। ভারতের প্রতিনিধি স্নেহা দুবে কড়া ভাষায় পাকিস্তানের উদ্দেশে বললেন, এখনই অধিকৃত কাশ্মীর ছেড়ে দিক পাকিস্তান। একই সঙ্গে, পাক প্রধানমন্ত্রীকে তোপ দেগে তাঁর বক্তব্য, বিশ্বের সব দেশ জানে যে সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেয় পাকিস্তান। এছাড়াও তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এনিয়ে কোনও আলোচনাই কাম্য নয়।
আরও পড়ুন- ভারত সরকারের তহবিলই নয় ‘পিএম কেয়ার্স’ ফান্ড! স্পষ্ট জানাল কেন্দ্র
আফগানিস্তান ইস্যুতে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাষ্ট্রপুঞ্জের আবেদন করেছেন, দেশের জনগণের স্বার্থে জনসভায় তালিবান সরকারকে সমর্থন করে এবং তাদের স্থিতিশীল এবং শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। তিনি দাবি করেছেন, সবাই যদি আফগানিস্তানকে অবহেলা করে তাহলে পরিস্থিতি আরো জটিল হবে তাই প্রত্যেক দেশের উচিত আফগানিস্তানের মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং সেখানকার সরকারকে শক্তিশালী করা। তাঁর এই মন্তব্য মোটেই ভাল ভাবে নেয়নি ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তান এবং তার প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে ভারতের কূটনীতিক স্নেহা দুবে বলেন, ভারত সম্পর্কে ভুল তথ্য দেয় পাকিস্তান এবং রাষ্ট্রপুঞ্জকে বিভ্রান্ত করে। তারা যে জঙ্গিদের সরাসরি সমর্থন করে সেটা গোটা বিশ্ব জানে। তিনি আরো বলেছেন, বন্ধুত্বপূর্ণ পরিস্থিতি যদি তৈরি করতে হয় তাহলে ভারতকে নয়, পাকিস্তানকে সচেতন ভাবে কাজ করতে হবে। স্নেহার আরও বক্তব্য, জঙ্গি কার্যকলাপ এবং তাদের সমর্থনের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পাকিস্তান বারংবার কাশ্মীর প্রসঙ্গ নিয়ে ভারতকে আক্রমণ করতে চায়। কিন্তু এতে বিশেষ কোন লাভ হয় না কারণ গোটা বিশ্ব জানে পাকিস্তানের ভূমিকা কী সন্ত্রাসবাদের পেছনে।
আরও পড়ুন- ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে কমিশনের হলফনামা নিয়ে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে দাঁড়িয়ে কার্যত তালিবান সরকারকে প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এইভাবে ইমরান খান তালিবানের জন্য সাহায্যের পথ খুলতে চাইছেন আন্তর্জাতিক মহলে। প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই ইমরান দাবি করেছিলেন, সার্কের বৈঠকে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করুক তালিবান। আসলে আফগানিস্তান দখল এবং সরকার গঠনের পর তালিবান আন্তর্জাতিক অর্থ সাহায্য পাচ্ছে না। সে প্রেক্ষিতেই তাদের সাহায্য করতে উদগ্রীব পাকিস্তান।