বিক্ষোভ তুলতে SLST চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধুন্ধমার, উত্তপ্ত ধর্মতলা

বিক্ষোভ তুলতে SLST চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধুন্ধমার, উত্তপ্ত ধর্মতলা

কলকাতা:  শহিদ মিনারে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না অবস্থান তোলা নিয়ে ধুন্ধুমার৷ পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি৷ চ্যাংদোলা করে বিক্ষোভকারীদের প্রজন ভ্যানে তুলল পুলিশ৷ 

আরও পড়ুন- চন্দননগর পুলিশ কমিশনারের আচরণে ক্ষুব্ধ আদালত, ডিজি’কে কড়া নির্দেশ

টানা ৭০ দিন ধরে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এসএলএসটি-র এই চাকরি প্রার্থীরা৷ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের তরফে তাঁদের উদ্দেশে একটি নোটিশ দেওয়া হয়৷ সেখানে পুলিশ স্পষ্ট জানায়, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে তাঁরা এখানে বিক্ষোভ করতে পারবেন না৷ বিক্ষোভ তোলার জন্য বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়৷ সেই সময়ের মধ্যে অবস্থান না ওঠায় পুলিশের তরফে আরও আধ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়৷ মাইকিং করে তাঁদের ধর্না মঞ্চ থেকে উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ কিন্তু, আন্দোলনকারীরা মঞ্চ না ছাড়ায় তাঁদের জোড় করে টেনে হিঁচড়ে সেখান থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ৷ তাঁদের মাথার উপর যে প্লাস্টিকের আচ্ছাদন ছিল, তা ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে৷ 

শারীর শিক্ষা, কর্মশিক্ষার যে সকল চাকরি প্রার্থী রয়েছেন তাঁরা গত ৭০ দিন ধরে দ্বিতীয় দফায় অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছিলেন৷ তাঁদের দাবি, নিয়োগপত্র হাতে না পাওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান বিক্ষোভ চলবে৷ সেই প্রেক্ষিতে আজ পুলিশের তরফে একটি নোটিশ দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নিতে হবে৷ খালি করে দিতে হবে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশ৷ কিন্তু চাকরি প্রার্থীরা অবস্থানে অনঢ় থাকায় বলপূর্বক তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে বাসে বা প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়৷ ফাঁকা করে দেওয়া হয় অবস্থান মঞ্চ৷ 

এক প্রার্থী বলেন, ১৬০০ সিট ঘোষণা করা হয়েছে৷ কাউন্সিলিংয়ের চিঠি দিলেই আমরা চলে যাব৷ কেন এভাবে তোলা হচ্ছে? চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের চুলের মুঠি ধরে টানা হয়েছে৷ কারও কারও টানা হেঁচড়ায় হাত-পা কেটে গিয়েছে৷ তবে এখনও কিছু প্রার্থী হাতে হাত রেখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন৷ তাঁদের বক্তব্য নিয়োগপত্র হাতে না এলে তাঁরা সরবেন না৷ তাঁদের সাফ কথা, থানা থেকে ছাড়া হলে আমরা ফের এখানেই ফিরে আসবে। কারণ শুধু মুখের কথায় ভরসা রাখতে পারছেন না তাঁরা৷