চন্দননগর পুলিশ কমিশনারের আচরণে ক্ষুব্ধ আদালত, ডিজি’কে কড়া নির্দেশ

চন্দননগর পুলিশ কমিশনারের আচরণে ক্ষুব্ধ আদালত, ডিজি’কে কড়া নির্দেশ

কলকাতা: জমি সংক্রান্ত একটি মামলায় ভূমি সংস্কার দফতরের এক আধিকারিকের ভূমিকা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারকে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অনন্যা বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা পড়তেই বড় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তার কারণেই পুলিশ কমিশনারের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডিজি’কে। কী এমন ঘটনা ঘটল?

আদালত যে রিপোর্ট চেয়েছিল তা নির্ধারিত দিনেই জমা করেন চন্দননগরের পুলিশ কমিষনার। কিন্তু সেই রিপোর্ট দেখতে গিয়ে বিচারপতি দেখেন সেই কেস ডায়রির মধ্যে থেকে অন্তত ৫ পাতা নেই। এই ঘটনায় আদালত তো বিস্ময় প্রকাশ করেছেই পাশাপাশি ক্ষুব্ধ হয়ে তলব করা হয় ডিজি’কে। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটতে পারে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বাখ্যা চাওয়া হয় তাঁর থেকে। এই বিষয়ে আদালতের প্রশ্ন, যে ঘটনার তদন্ত খোদ পুলিশ কমিশনার করছেন তাতেই এই রকম অবস্থা কী করে? এই প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি আগামী ৭ দিনের মধ্যে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারকে এই আচরণের ব্যাখ্যা হলফনামা আকারে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

জনৈক এক ব্যক্তি তাঁর এক আত্মীয়কে মৃত দেখিয়ে ভূমি সংস্কার দফতর থেকে জমি নথিভুক্ত করার কাজ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে সে গ্রেফতার হতে পারে এমন আশঙ্কায় আগেই গ্রেফতারি এড়াতে হাইকোর্টে মামলা করেছিল। সেই মামলার শুনানির প্রথম ধাপেই এই ঘটনা। আদালত এই বিষয়ে আরও ব্যাখ্যা দিয়ে মন্তব্য করেছে যে, ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে আদালতের প্রতি এটি দায়সারা মনোভাব। একজন সরকারি আধিকারিক এই আচরণ করেছেন দেখে আরও উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine + fifteen =