কলকাতা: রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির করে মেয়েকে স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ আছে। সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই বড় নির্দেশ দিয়েছে। চাকরি গিয়েছে মেয়ের, এতদিনের বেতনের টাকাও ফেরত দিতে হয়েছে। এবার সেই পরেশ অধিকারী পেলেন নয়া দায়িত্ব। রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হলেন তিনি। শুক্রবার রাজ্যের তরফে ২১৮ টি গ্রামীণ হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সনদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর।
আরও পড়ুন- বহু সংগ্রাম করে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পেলেও মেলেনি চাকরি, তন্ময় এখন ‘এমএ পাশ লটারিওয়ালা’
কোচবিহারের হলদিবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান করা হয়েছে পরেশ অধিকারীকে। অন্যদিকে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের রোগীকল্যাণ সমিতির সদ্য প্রাক্তন চেয়ারম্যান নির্মল মাজিকে আমতা এবং বৃন্দাবনপুর গ্রামীণ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন করা হয়েছে। সম্প্রতি তাঁকে মেডিক্যাল কলেজের পদ থেকে সরিয়ে বিধায়ক সুদীপ্ত রায়কে আনা হয়েছিল। এবার নির্মলও পেলেন নতুন দায়িত্ব। এদের নাম ছাড়াও এই তালিকায় নাম রয়েছে শতাব্দী রায়, মিমি চক্রবর্তী, শত্রুঘ্ন সিনহার।
যেমন দক্ষিণ ২৪ পরগণা নলমুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন হয়েছেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। আবার পশ্চিম বর্ধমানের বল্লভপুর গ্রামীণ হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন হয়েছেন সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। বীরভূমের দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালের এবং নাকরাকোন্ডা গ্রামীণ হাসপাতালের চেয়ারপার্সন হয়েছেন শতাব্দী রায়। গ্রামীণ হাসপাতাল পিছু এক জন করে রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন নিযুক্ত করা হয়েছে।