কলকাতা: স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের বিপুল বোঝার উপর জিএসটি-র কোপ যেন প্রকট করে তুলেছে রাজ্য সরকারের ভাঁড়ারের দুরবস্থাকে৷ রাজ্যের সকল নাগরিকের জন্য যখন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের বন্দোবস্ত করেছিল তৃণমূল সরকার, তখন স্বাস্থ্য পরিষেবায় জিএসটি-র ভ্রুকুটি ছিল না। কিন্তু, সম্প্রতি জিএসটি পরিষদের বৈঠকে চিকিৎসা পরিষেবায় করের বোঝা চাপানোর পরেই বাড়তি খরচের চিন্তায় মাথা ব্যথা বেড়েছে নবান্নের। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের আশঙ্কা, স্বাস্থ্যে জিএসটি-র বোঝা স্বাস্থ্যসাথীর উপরেও পরোক্ষ প্রভাব ফেলতে চলেছে। এর ফলে একলাফে খরচ বেড়ে যেতে পারে কয়েকশো কোটি টাকা। বর্তমান রাজ্যের যা আর্থিক পরিস্থিতি, তাতে কী ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে, সেই চিন্তা বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ আশঙ্কা তৈরি হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের অন্দরেও।
আরও পড়ুন- শৈশবের ছোঁয়া পেতে আচমকা স্কুলে হাজির অরিজিৎ! ইংরেজির দিদিমণির পা ছুঁয়ে প্রণাম
বণিকসভা ফিকি ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রককে চিঠি পাঠিয়ে তাদের আপত্তি জানিয়েছে। বণিকসভা ও স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্পোরেট দুনিয়ার তরফ থেকেও কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানানো হবে। এ নিয়ে অবশ্য কংগ্রেসের কটাক্ষ, এর জন্য আবার ফিকি-র কর্তাদের বাড়িতে ইডি হানা দেবে না তো! ব্যঙ্গ করে কংগ্রেস বলছে, নরেন্দ্র মোদী জমানায় হিরের উপর বরাদ্দ জিএসটি মাত্র ১.৫ শতাংশ। কিন্তু, হাসপাতালের ঘর ভাড়ায় ৫ শতাংশ৷ জিএসটি’র বোঝা চেপেছে আটা, পনির, দইয়ের উপরেও!
যদিও অর্থ মন্ত্রকের রাজস্ব সচিব তরুণ বজাজের কথায়, যিনি ৫ হাজার টাকা দিয়ে হাসপাতালের ঘর ভাড়া নিতে পারেন, তাঁর কাছে বাড়তি ২৫০ টাকা দেওয়াটা কঠিন নয়। এই রাজস্ব গরিবদের জন্যই খরচ করবে সরকার। সেই সঙ্গে তাঁর এটাও দাবি, আইসিইউ বাদ দিলে দেশের হাসপাতালে ৫ হাজার টাকার শয্যার সংখ্যা খুবই নগন্য৷ তবে শিল্প মহলের যুক্তি, হোটেলের ঘর ভাড়ার সঙ্গে হাসপাতালের শয্যার ভাড়া এক বিষয় নয়। সব শেষে দেখা যাবে, এটাই বিরাট অঙ্কে গিয়ে দাঁড়াবে৷ ফলে মধ্যবিত্ত মানুষের চিকিৎসার খরচ বাড়বে। এখনও ৬২ শতাংশ রোগীকে নিজেদের পকেট থেকেই হাসপাতালের খরচ বহন করতে হয়৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>