কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা, প্রচুর গয়না ও বিদেশি মুদ্রা৷ কিন্তু, সেই আলোচনাকে পিছনে ফেলে চর্চায় এখন তাঁর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া দু’টি সেক্স টয়। কেন ‘সেক্স টয়’ রেখেছিলেন অর্পিতা? যৌনসুখে খামতি ছিল তাঁর? এ নিয়ে শুরু হয়েছে মিম৷
আরও পড়ুন- শান্তিনিকেতনে ১০ কাঠা জমির উপর তৈরি ‘অপা’র মালিকও অর্পিতা! বলছে বিএলআরও নথি
অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা, গয়নার সঙ্গে ‘উদ্ধার’ হয়েছে জোড়া সেক্স টয়৷ এর পরেই পার্থ-অর্পিতাকে নিয়ে চর্চায় নয়া খোরাক পয়েছে রাজ্যবাসী৷ দুর্নীতি-টুর্নীতি ভুলে আলোচনার কেন্দ্রে অর্পিতার যৌন জীবন! তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যৌন সুড়সুড়ি দেওয়া ট্রোল-মিমের বন্যা। আর এই সেক্স টয়ের সুবাদেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অর্পিতার সম্পর্কের সমীকরণ পেল নতুন মাত্রা। উঠল অজস্র প্রশ্ন৷ কেন সেক্স টয় পাওয়া গেল অর্পিতার ফ্ল্যাটে? সেগুলি দিয়ে কী-ই বা করতেন তিনি? যদিও ওই দুটি বস্তু আদৌ অর্পিতারই কি না, তা এখনও খাতায়-কলমে কোথাও দাবি করা হয়নি।
কেউ কেউ অবশ্য ধরেই নিয়েছেন ওই দুটি অর্পিতারই৷ চটুল রসিকতার মাধ্যমে তাঁদের দাবি, ওই বস্তু দু’টি আসলে পার্থবাবুর ‘অক্ষমতা’র জ্বলজ্যন্ত প্রমাণ। ফেসবুক-টুইটারে এ নিয়ে শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া। স্বাভাবিক ভাবেই এটা ধরে নেওয়া হয়েছে যে, সঙ্গীর ব্যর্থতার কারণেই সেক্স টয়ের সাহায্য নিতে হয়েছিল অর্পিতাকে। কিন্তু প্রশ্ন হল, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যখন তোলপাড়া গোটা দেশ, তখন দু’জনের যৌনজীবন এবং সেখানে সেক্স টয়ের ভূমিকা নিয়ে এই রগরগে আলোচনা কতটা যুক্তিযুক্ত?
এ বিষয়ে সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এবং জেন্ডার স্টাডিজের গবেষক সমতা বিশ্বাস বলেন, ‘অর্পিতার সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই৷ এমনকী যাঁকে জড়িয়ে এত চর্চা চলছে, তিনি আদৌ তাঁর সঙ্গী কি না, সেটাও অজানা৷ এখানে ধরে নেওয়া হচ্ছে, যৌনসুখ শুধুমাত্র সঙ্গীর যৌনাঙ্গের উপরেই নির্ভরশীল। আর কোনও ভাবেই তা পাওয়া যেতে পারে না।’
এখন প্রশ্ন ওঠে নারীর যৌন স্বাধীনতা কি শুধুমাত্র সঙ্গীর উপরেই নির্ভরশীল? সমতার কথায়, যৌনসুখ পাওয়ার জন্য নারীরা অন্য কারও উপর নির্ভরশীল নাও হতে পারেন। কিন্তু আমাদের সমাজব্যবস্থায় নারীর যৌন স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেয় না। তিনি বলেন, ‘একজন মেয়ে সেক্স টয় ব্যবহার করা নিয়ে ব্যঙ্গ করলে তাঁর দৈহিক ও যৌন স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়। মনে করা হয়, তিনি শুধুমাত্র পুরুষের সঙ্গেই সঙ্গম করবেন। আমরা এখনও ভাবতেই পারি না, মেয়েরা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারেন। এটা ধরেই নেওয়া হয়, তাঁদের যৌনতাও পুরুষরা নিয়ন্ত্রণ করবেন। কেউ তার বাইরে গেলেই শুরু হয় হাসিঠাট্টা।’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>