কলকাতা: পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনের মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড় দেখা দিয়েছে। মূল অভিযুক্ত সঞ্জীব ওরফে বাপি পণ্ডিত এই মামলায় জামিন পেয়েছে। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই উত্তাল আগরপাড়া-পানিহাটি অঞ্চল। এই পরিস্থিতির মধ্যেই জানা গিয়েছে, সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন নিহত তৃণমূল কাউন্সিলরের স্ত্রী মীনাক্ষী। অনুমান করা হচ্ছে, নিরাপত্তাহীনতার কারণেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই মুহূর্তে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ‘ভালো কাজ করছেন, চালিয়ে যান’: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
সোমবার অনুপম দত্ত খুনে অভিযুক্ত সঞ্জীব ওরফে বাপি পণ্ডিতের জামিন মঞ্জুর করে কলকাতা হাইকোর্ট৷ এই রায় ঘোষণার পরই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট৷ তারই মধ্যে আজ এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ তাঁরা রাস্তা অবরোধও করেন৷ এদিকে এই খবর শোনা মাত্রই অনুপমের স্ত্রী মীনাক্ষী সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে প্রতিবেশীদের তৎপরতায় তাঁকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ছেলে এবং মেয়েকে নিয়ে দরজা আটকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন তিনি। আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে।
গত ১৩ মার্চ বাড়ির কাছেই আগরপাড়া স্টেশন রোডে স্কুটারে ওঠার সময়ে দুষ্কৃতীর গুলিতে মৃত্যু হয় অনুপম দত্তের৷ তিনি ছিলেন পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলর। ওই রাতেই এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় অমিত পণ্ডিত নামে এক দুষ্কৃতীকে। তদন্তে নেমে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, অনুপম দত্তকে খুনের জন্য তাকে সুপারি দিয়েছিল বাপি। তার বিরুদ্ধে চার্জশিটে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (খুন) এবং ১২০ বি (হত্যায় ষড়যন্ত্র) ধারা আনা হয়েছে৷ অপর দুই অভিযুক্ত অমিত পণ্ডিত এবং জিয়ারুল মণ্ডলের বিরুদ্ধেও চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ৷