কলকাতা: গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ হাতকড়া পরেছে তাঁর দেহরক্ষী তথা সর্বক্ষণের ছায়াসঙ্গী সায়গল হোসেনের হতেও৷ এর পরেও কি আদৌ বন্ধ হয়েছে গরু পাচার? বরং বিভিন্ন কায়দায় চলছে পাচার৷ কলা গাছের ভেলায় বেঁধে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে গরু৷ নদীপথে বাংলাদেশে পাচারের আগে বিএসএফ-এর হাতে উদ্ধার হল বাছুর৷
আরও পড়ুন- প্রসন্নর আরও সম্পত্তির হদিশ, মহিষবাথানে বিলাসবহুল আবাসনেও ফ্ল্যাট
মুর্শিদাবাদের জলঙ্গী সীমান্ত থেকে মুখ বাঁধা অবস্থায় একটি বাছুর উদ্ধার করে বিএসএফ৷ প্রাথমিকভাবে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অনুমান, পাচারের উদ্দেশে জলঙ্গীর মুরাদপুর বা ফরাজিপাড়া থেকে বাছুরটিকে ভেলায় ভাসানো হয়েছে৷ উদ্দশ্য ছিল পাচার৷ বিএসএফ-এর তৎপরতায় বাছুরটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়৷ বাংলাদেশে গরু পাচারের জন্য সবথেকে বেশি ব্যবহার করা হয় সাগরদিঘি হয়ে রঘুনাথপুর করিডর এবং জলঙ্গি করিডর৷ এই ২ রুট দিয়ে গরু পাচারের আগে উদ্ধার হল বাছুর। কলার ভেলা দেখেই সন্দেহ হয়েছিল বিএসএফ জওয়ানদের। বোট নিয়ে জলে নেমে কলার ভেলায় বাঁধা বাছুরটিকে উদ্ধার করে তারা৷
গরু পাচার নিয়ে এত কিছু হওয়ার মাঝেও এই ভাবে চলছে পাচারের চেষ্টা৷ বলা যেতে পারে প্রচন্ড বেপরোয়া এই পাচারকারীরা৷ প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে এই কাজ করে চলাচ্ছে তারা৷ গরুপাচার মামলার কিংপিন এনামুল হক অনেক দিন আগে থেকেই জেলবন্দি৷ সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল৷ এর পরেও চলছে গরু পাচার৷ ফলে এই নেটওয়ার্ক যে এখনও শক্তিশালী তা বোঝাই যাচ্ছে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>