বাগদার চন্দনকে লক্ষাধিক টাকা দিয়েই স্ত্রীর চাকরি! স্বীকার করল স্বামী

বাগদার চন্দনকে লক্ষাধিক টাকা দিয়েই স্ত্রীর চাকরি! স্বীকার করল স্বামী

কলকাতা: টেটে একবার অনুত্তীর্ণ, একবার পরীক্ষাতেও বসেননি, অথচ প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছেন স্ত্রী। কী ভাবে? বাগদার চন্দন মণ্ডল ওরফে ‘রঞ্জন’কে টাকা দিয়ে। এই কথাই স্বীকার করে নিয়েছেন এক শিক্ষিকার স্বামী। তিনি জানিয়েছেন, চন্দনকে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তিনি এবং তার ভিত্তিতেই তাঁর স্ত্রী কল্যাণীর বাসিন্দা পাপিয়া মুখোপাধ্যায় চাকরি পান। শিক্ষিকার স্বামী সিবিআইকে এই কথা নিজেই জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন- কয়লা পাচার মামলায় CBI-এর দ্বিতীয় নোটিসে সাড়া, নিজাম প্যালেসে শওকত মোল্লা

জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় বসেননি পাপিয়া। কিন্তু পরে ২০১৭ সালে সাড়ে সাত লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রাথমিক শিক্ষিকার চাকরি পান তিনি। এই জন্য বাগদার মামাভাগিনা গ্রামের বাসিন্দা চন্দন মণ্ডলকে সেই টাকা দিতে হয়েছিল তাকে। পাপিয়ার স্বামী জয়ন্ত বিশ্বাস জানিয়েছেন, কল্যাণীতে থাকলেও তাঁদের আদি বাড়ি মামাভাগিনা গ্রামে। সেখান থেকেই চন্দনের খোঁজ পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর স্ত্রী ২০১২ সালে টেট পাশ করেননি, ২০১৪ সালে পরীক্ষাতেই বসেননি। তাও ২০১৭ সালে তিনি প্রাথমিকের চাকরি পান। কী ভাবে? সাড়ে সাত লক্ষ টাকা এই ‘রঞ্জন’কে দিয়ে। প্রসঙ্গত, নদিয়ার হবিবপুরের পানপাড়া জুনিয়র প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পান পাপিয়া।

যদিও আগের এক শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে এই চন্দন দাবি করেছিলেন যে তিনি কোনও টাকা নেননি, চাকরিও দেননি। আসলে বছরখানেক আগে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের একটি ভিডিও বার্তায় এই রঞ্জনের নাম পাওয়া যায়। নিয়োগ দুর্নীতিতে অতপ্রতভাবে জড়িয়ে তিনি এমনটাই জানা যায়। কিন্তু অনেক দিন তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen + 19 =