কিয়েভ: ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে রাশিয়া। গত ৩ দিন ধরে লাগাতার সংঘর্ষ চলছে দুই দেশের মধ্যে। ইতিমধ্যেই দুই দেশের একাধিক সেনার মৃত্যু হয়েছে বলেই খবর। সেনার পাশাপাশি বহু সাধারণ মানুষ যুদ্ধের বলি হয়েছেন। কিন্তু এখন একটি বিষয় নিয়ে বিরাট চর্চা শুরু হয়েছে এবং সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও বেশি করে নিন্দা করা হচ্ছে রাশিয়ার। কারণ ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা নিয়ে গিয়েছে ‘চলমান শ্মশান’। ব্যাপারটা কী?
আরও পড়ুন- গ্রুপ সি মামলার তদন্তভার রঞ্জিত কুমার বাগের কমিটিকে দিল হাই কোর্ট
আসলে ইউক্রেনে এমন ট্রাক নিয়ে গিয়েছে রাশিয়ান সেনা যার মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রিক চুল্লি! অর্থাৎ যুদ্ধে যে সেনারা মারা যাবে তাদের সেই ট্রাকে ঢুকিয়েই পুড়িয়ে দেওয়া হবে! রাশিয়ান সেনাদের মধ্যে কতজনের মৃত্যু হল সেই তথ্য ঢাকতেই এই ট্রাকের ব্যবহার বলে মনে করা হচ্ছে, যার জন্য নিন্দিত হচ্ছে পুতিন সরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া নিজেদের দেশের সত্যিটা প্রকাশ করতে চাইছে না তাই এই পদক্ষেপ নিয়েছে। ব্রিটেন, আমেরিকা-সহ একাধিক দেশের সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই ধরণের কয়েকশো ট্রাক নিয়ে ইউক্রেনে ঢুকেছে রাশিয়ান সেনা। তবে অনেকেই মনে করছেন, শুধু নিজেদের মৃত সেনাদের দেহ নয়, ইউক্রেনের বাসিন্দা যারা মারা যাচ্ছেন তাদের দেহও পোড়ানো হচ্ছে এখানে।
শুধু অন্যান্য দেশ নয়, রাশিয়া প্রশাসনের এই ধরণের কাজের সমালোচনা করছে খোদ রাশিয়ান সেনার অভিভাবকরাও। তাদের দাবি, তাদের ছেলেদের ঠকিয়ে ইউক্রেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রথমে বলা হয়েছিল, ইউক্রেন সীমান্তে তাঁদের সামরিক মহড়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু পড়ে যুদ্ধে নামিয়ে দেওয়া হয়। আর এইভাবে দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার খবরে তারা রীতিমতো আতঙ্কিত এবং ক্ষুব্ধ। তাদের বক্তব্য, এইভাবে দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তাই তারা জানতে পারছেন না যে তাদের ছেলেরা বেঁচে আছেন কিনা। বেঁচে থাকলে কী অবস্থায় আছে তাও তাদের জানা নেই। পুতিন সরকার তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
এদিকে আবার রাশিয়ার সেনানিদের মায়েদের নিয়ে গঠিত কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান জানাচ্ছেন, তাঁর কাছে অসংখ্য রাশিয়ান মায়েদের, পরিবারের ফোন আসছে। তাঁর আরও দাবি, ইউক্রেনে নিয়ে যাওয়ার পর বহু রাশিয়ান সেনার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আবার যুদ্ধ করার চুক্তিতে রাজি না হলে তাঁদের উপর শারীরিক অত্যাচারও করা হচ্ছে বলে বিস্ফোরক দাবি তাঁর।