কলকাতা: এসএসসি গ্রুপ সি মামলার তদন্তভার প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের কমিটির হাতে তুলে দিল দিল ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী তিন মাসের মধ্যে এই বিষয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেবে কমিটি৷
আরও পড়ুন- গ্রুপ ডি: CBI অনুসন্ধানে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়াল হাই কোর্ট
গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তে নারাজ রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্য সরকারের পক্ষের আইনজীবী আদালতে জানান, রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে। তাঁরা নিরপেক্ষ ভাবেই তদন্ত করবেন। এক্ষেত্রে যদি কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাহলে অবশ্যই আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, মামলাকারির পক্ষে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, গ্রুপ ডি-র মতো গ্রুপ সি-তেও বড়সড় নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার ওপর আমাদের আস্থা নেই। তাঁদের নিরোপক্ষেতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে সরকারি কৌঁসুলি আদালতে জানান, সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট বেশ কিছু গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছে৷ সেই গাইডলাইন অনুসারে এই ধরণের তদন্তের ক্ষেত্রে সিবিআইয়ের এক্তিয়ার নেই।
বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাকারিদের কাছে জানতে চান তাঁরা কি চাইছেন? আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, রাজ্য কোনোটাই এড়িয়ে যেতে পারে না। এটা বলতে পারে না যে তারা কিছু জানত না। প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে। অর্থ দফতর এই সকল কর্মীদের বেতন দেওয়ার আগে কেন খতিয়ে দেখল না? এটা তো মানুষের টাকা। এই ঘটনার তদন্তে সিবিআই চাই।
গ্রুপ সি মামলায় মূল অভিযোগ ছিল, ২০১৯ সালের ১৮ মে প্যামেলের বৈধতা শেষ হওয়ার পরেও এসএসসি’র তরফে বেশ কিছু সুপারিশপত্র দেওয়া হয়৷ যার ভিত্তিতেই এই ৩৫০ জন নিয়োগপত্র হাতে পান৷ অথচ বোর্ড এবং কমিশন জানায় প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তারা আর কাউকে নিয়োগপত্র দেয়নি৷ কেউ সেটা দেখালে তা ভুয়ো বলে প্রমাণিত হবে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>