কলকাতা: নবান্ন অভিযানের দিন বিজেপি কর্মীদের হাতে মার খেয়েছেন কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি এখন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি। তাঁকেই বুধবার দেখতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি মন্তব্য করেন, ওই জায়গায় তিনি থাকলে মাথায় গুলি করতেন! এই মন্তব্য পাল্টা এবার দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বললেন, অভিষেক আগামী দিনে রাজ্যকে ‘ট্রিগার হ্যাপি’ পুলিশ উপহার দিতে চলেছেন।
আরও পড়ুন: সৌজন্য! আহত বিজেপি নেত্রী মীনাদেবী পুরোহিতকে দেখতে হাসপাতালে ফিরহাদ
সুকান্তর কথায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন যে পুলিশ নাকি শান্ত ছিল। কিন্তু এই পুলিশ মহিলাদের ওপর অত্যাচার করেছে বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি এও বলেন, নিরস্ত্র বিজেপি কর্মীদের মেরেছে পুলিশ। এমনকি বিভিন্ন জায়গা থেকে বিজেপি কর্মীদের নবান্ন অভিযানে আসতে বাধাও দিয়েছে পুলিশ বলে মন্তব্য তাঁর। সুকান্ত প্রশ্ন তুলেছন, এই রকম কাজ পুলিশ কী ভাবে করতে পারে। একই সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছেন তার পাল্টা দিয়ে তিনি বলেন, তৃণমূল নেতা যা কথা বলছেন তা ভয়ঙ্কর, বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না। এই প্রেক্ষিতেই তাঁর হুঁশিয়ারি, আগামী দিনে রাস্তায় ‘ট্রিগার হ্যাপি’ পুলিশ নামালে তাঁরা চুপ থাকবেন না। এছাড়া যেভাবে বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে অরুচিকর কথা বলেছেন তাও অপসংস্কৃতি।
আসলে অভিষেকের বক্তব্য ছিল, একজন পুলিশ আধিকারিককে একা পেয়ে যেভাবে ২০-২৫ মিলে মেরেছে, তাতে পুলিশ কি গুলি চালাতে পারত না? সেটাই সহজ উপায় ছিল। এক মিনিটে আন্দোলন শেষ। খেলা শুরু হওয়ার আগেই শেষ। কিন্তু পুলিশ তা করেনি। যথেষ্ট সংবেদনশীলতা, সংযমের পরিচয় দিয়েছে তাঁরা। অভিষেক জানান, আহত এসির সঙ্গে দেখা করে তিনি তাঁকে স্যালুট জানিয়েছেন। আর বলেছেন, ওই জায়গায় যদি তিনি নিজে থাকতেন এবং তাঁর সামনে যদি এভাবে পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানো হত, পুলিশকে মারা হত, তাহলে তিনি মাথায় গুলি করতেন।