জুটিতে বারবার থাইল্যান্ড সফর! সঙ্গী হন আরও এক জন, সেখানেও ‘অপা’র সম্পত্তি

জুটিতে বারবার থাইল্যান্ড সফর! সঙ্গী হন আরও এক জন, সেখানেও ‘অপা’র সম্পত্তি

dd72d1a1b6cdd29cde7341ca98652f0b

কলকাতা:  শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ হদিশ মিলেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ বান্ধবী’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একাধিক সম্পত্তির৷ সেই তালিকা আরও দীর্ঘ হল ইডি-র চার্জশিটে৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, শুধু বাংলাতেই নয়, ‘অপা’র সম্পত্তি ছিল দেশের বাইরেও। 

আরও পড়ুন- মণ্ডপে মণ্ডপে ঢাকের বোল তুলবেন রামনগরের নমিতা-সোনালিরা, চলছে প্রস্তুতি

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৭২ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই চার্জশিটের পরতে পরতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতন, একাধিক ফ্ল্যাট, বাংলো, স্কুল ও রিসর্ট-সহ পার্থ ও অর্পিতার স্থাবর সম্পত্তির তালিকা বেশ দীর্ঘ। কিন্তু শুধু দেশের মাটিতেই নয়৷ জানা গিয়েছে, ‘অপা’র বিনিয়োগ ছিল থাইল্যান্ডেও৷ এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে ইডি-র চার্জশিটে৷ 

ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে থেকে উদ্ধর হওয়া নথিতে বহুবার তাঁদের একসঙ্গে থাইল্যান্ড সফরের প্রমাণ মিলেছে। তবে ঠিক কত বার অথবা কবে কবে, সেই কথা আদালতে পেশ করা চার্জশিটে উল্লেখ করেনি তদন্তকারী সংস্থা। কী কারণেই বা তাঁরা বারেবারে থাইল্যান্ডে ছুটে যেতেন তাও স্পষ্ট নয়। তবে চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, পার্থ-অর্পিতার মালিকানাভুক্ত অপা ইউটিলিটি সার্ভিস-এর নামে রিয়েল এস্টেটে একাধিক বিনিয়োগ করা হয়েছিল৷ মনে করা হচ্ছে, একইভাবে থাইল্যান্ডেও অপা ইউটিলিটি সার্ভিস কোম্পানির মাধ্যমে জমি কেনা হয়ে থাকতে পারে৷ 

 ইডি-র চার্জশিটে পার্থ-অর্পিতার সফরসঙ্গী হিসাবে উঠে এসেছে আরও একটি নাম- স্নেহময় দত্ত৷ তিনি একাধিক বার ‘অপা’র সঙ্গে থাইল্যান্ড গিয়েছিলেন৷ সেই সফরে স্নেহময়ের ভূমিকা ঠিক কী ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চার্জশিটে স্নেহময়ের যে বয়ানের উল্লেখ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, নিজের খরচে স্নেহময়কে থাইল্যান্ড নিয়ে গিয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী৷ পার্থ-অর্পিতার থাই সফরে স্নেহময়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অনুমান৷ শুধু থাইল্যান্ডেই নয়, তাঁরা তিন জনে একসঙ্গে এক বার গোয়ায় গিয়েছিলেন বলেও ইডিকে জানিয়েছেন স্নেহময়৷ 

 ইডি-র চার্জশিটে বলা হয়েছে,  পার্থ-অর্পিতার বাজেয়াপ্ত করা ৪০টি অস্থাবর সম্পত্তির মোট মূল্য ৪৮ কোটি ২২ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট, ফার্ম হাউজ, কলকাতার অভিজাত এলাকায় বাড়ি। এই সমস্ত সম্পত্তিই রয়েছে পার্থ এবং অর্পিতার নামে। একাধিক ভুয়ো সংস্থা এবং বেনামে রয়েছে এই সব সম্পত্তি৷ এছাড়াও পার্থ ও অর্পিতার মোট ১০৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪০ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা। মোট ৩৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। যেখানে রয়েছে ৭ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা।