শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির মাঝেই পুরনো মামলায় বেকসুর খালাস সিপিএম নেত্রী

শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির মাঝেই পুরনো মামলায় বেকসুর খালাস সিপিএম নেত্রী

0a233de994b62d833ffe11bf0e854119

কলকাতা: এই মুহূর্তে রাজ্যে কী চলছে তা অজানা নয়। একের পর এক দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসছে। নিয়োগ দুর্নীতি, শিক্ষায় দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচার… আরও কত কী। রাজ্যের রাজনৈতিক মহল সরগরম এই নিয়ে, অস্বস্তি দিনদিন বেড়ে চলেছেন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। তবে এই আবহেই এক দশকের পুরনো এক দুর্নীতি মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন এক সিপিএম নেত্রী। তাঁর নাম মিতা বেজ।

আরও পড়ুন- ‘রোড অ্যাক্সিডেন্ট হলে কি পরিবহণ মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়?’, এজলাসে সওয়াল পার্থর

8db7c8638b0958dee3b2b7cd4b84ee73

স্কুল শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ছিল এই নেত্রীর বিরুদ্ধে। কিন্তু বুধবার ঝাড়গ্রাম বিচারবিভাগীয় আদালত জানিয়ে দেয়, তাঁর বিরুদ্ধে সেইভাবে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তথ্য প্রমাণের অভাবে অভিযুক্ত মিতা বেজকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিচারক। এই রায়ের পর সিপিএম নেত্রীর আইনজীবী বলেছেন, মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল তাঁর মক্কেলকে। আজ সেটা প্রমাণ হয়ে গেল। পরিকল্পনামাফিক এমনটা করা হয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি। তবে ঠিক কী অভিযোগ ছিল এই সিপিএম নেত্রীর বিরুদ্ধে?

জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে বিনপুর থানায় কুড়চিবনি গ্রামের এক বাসিন্দা অভিযোগ করেছিলেন যে, ২০০১ সালে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মিতা তাঁর থেকে এক লক্ষ টাকা নেন। কিন্তু দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও চাকরি মেলেনি। টাকা ফেরত চেয়েও পাননি বলে অভিযোগ ছিল। অভিযোগকারীর দাবি ছিল, প্রথমে প্রায় ৬০ হাজার টাকা ও পরে বাকি টাকা অর্থাৎ দু’দফায় তিনি সিপিএম নেত্রীকে টাকা দিয়েছিলেন। পরে মিতা গ্রেফতার হয়েছিলেন। একবার জামিন খারিজ হলেও পরে জামিন পান। তদন্তের পর ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও দুর্নীতি প্রমাণিত হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *