‘রোড অ্যাক্সিডেন্ট হলে কি পরিবহণ মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়?’, এজলাসে সওয়াল পার্থর

‘রোড অ্যাক্সিডেন্ট হলে কি পরিবহণ মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়?’, এজলাসে সওয়াল পার্থর

কলকাতা:  দুর্নীতির ময়দানে তিন জনেই পাকা খেলোয়াড়৷ তাঁরা যে নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম হোতা, তা সিবিআই-এর কাছে স্পষ্ট৷ কিন্তু, অপসারিত মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের রক্ষণব্যূহ এতটাই শক্তিশালী যে, তা এখনও ভেঙে ফেলতে পারেনি সিবিআই৷ তবে এবার আর নিজেদের হেফাজতে নয়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত পার্থ ও কল্যাণময়ের জেল হেফাজতের আবদেন জানালেন সিবিআই-এর আইনজীবী। 

আরও পড়ুন-অকল্পনীয় দুর্নীতি! প্রাথমিক টেট মামলায় CBI রিপোর্ট দেখে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

বুধবার আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে৷  সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে বলেন, পার্থ প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাঁকে জামিন দেওয়া হলে তিনি সাক্ষীদের উপর প্রভাব খাটাতে পারেন। এমনকী তথ্য প্রমাণ নষ্ট করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।

পাশাপাশি তাঁর দাবি, পার্থ তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। তাই তাঁর সংস্থার বিভিন্ন কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন রয়েছে। তাই পার্থ এবং কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে জেল হেফাজতের পাঠানো হোক। আবেদন সিবিআই-এর৷ জেলে গিয়েই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়৷ 

অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সেলিম রহমানের সওয়াল, তাঁর মক্কেল এই দুর্নীতি প্রসঙ্গে ওয়াকিবহাল নন। এমনকী উদাহরণ টেনে তাঁর প্রশ্ন, পথে দুর্ঘটনা হলে যেমন পরিবহণ মন্ত্রীর কোনও দায় থাকে না, শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি হলে তার দায় কী ভাবে পার্থর হতে পারে? তাঁর মক্কেলের  বয়সের যুক্তি দেখিয়েও জামিনের পক্ষে জোর সওয়াল করেন করেন তিনি। পার্থর আইনজীবীর দাবি, প্রাক্তন মন্ত্রীর বয়স এখন ৭০। অনেক জটিল রোগ রয়েছে তাঁর। দিনে প্রচুর ওষুধ খেতে হয় তাঁকে৷ বিচার হওয়ার জন্য তো অন্তত বাঁচিয়ে রাখবেন। তিনি এও জানান, পার্থ দেশ ছেড়ে যাবেন না। দরকার হলে ওঁকে বাড়িতে রাখা হোক।