হদিশ নেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষার OMR সিটের, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাই কোর্টের

হদিশ নেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষার OMR সিটের, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাই কোর্টের

কলকাতা: ২০১৪ সালের টেটের খাতা (OMR) সিটের হদিশ নেই। অভিযোগ, উত্তরপত্র নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে৷ এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কেন নষ্ট করা হল প্রাথমিকের ওএমআর শিট? কার নির্দেশে, কী উদ্দেশে নষ্ট করা হল উত্তরপত্র? ওএমআর শিট নষ্টের ক্ষেত্রে পর্ষদের ভূমিকা সন্দেহজনক৷ সাংবিধানিক সংস্থার কাছ থেকে এই ভূমিকা প্রত্যাশিত নয়৷ গোটা ঘটনাটি তদন্ত করবে সিবিআই৷ নির্দেশ আদালতের৷ 

 

আরও পড়ুন- সপ্তমী থেকে দশমী পুজোর আনন্দে ‘ভিলেন’ হবে বৃষ্টি, জানাচ্ছে হাওয়া অফিস

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র নষ্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে কার কার ওএমআর শিট নষ্ট? সেই তথ্য জানে না পর্ষদ৷ তবে সব মিলিয়ে ১২ লক্ষের বেশি ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে হাই কোর্টে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশ, সিবিআই-কে এক মাসের মধ্যে এই ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।  ১ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে৷  এদিকে, মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যকে৷  সহযোগিতা না করলে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই৷ এমনই নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের৷  

২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার নিরিখে মোট দুটি নিয়োগ প্রক্রিয়া সংগঠিত হয়েছিল৷ ২০১৬ এবং ২০২০ সালে৷ ২০১৭ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট নষ্ট করে দেওয়া হবে৷ ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারির মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়৷ বেশ কিছু চাকরি প্রার্থী আদালতে অভিযোগ জানান, তাঁরা তথ্যের অধিকার আইনে ওএমআর শিট দেখতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু পর্ষদের তরফে তাঁদের কোনও রকম ওএমআর শিট দেওয়া হয়নি৷ বেশ কিছু প্রার্থীকে ওএমআর শিট দেওয়া হলেও, মূল মামলাকারী কিন্তু ওএমআর শিট পাননি৷ ফলে এই ওএমআর শিটকে নিয়ে একটা সংশয় তৈরি হয়৷ আইন বহির্ভূত ভাবে ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে বলে আদালতে অভিযোগ করা হয়৷ এর ভিত্তিত পর্ষদের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷ সেই রিপোর্ট আসতেই কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি৷ 

মঙ্গলবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, কোন আইনে এই ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র নষ্ট করা হল তা পর্ষদের কাছে স্পষ্ট নয়৷ কোন যুক্তিতে ২০ লক্ষ প্রার্থীর মধ্যে ১২.৯৫ লক্ষ প্রার্থীর ওএমআর নষ্ট করা হল? এছাড়াও কোনও সংস্থাকে বরাত দিয়ে বা টেন্ডার ডেকে এই উত্তরপত্র নষ্ট করার কাজও করা হয়নি৷ যা থেকে পর্ষদের ভূমিকা নিয়েও একটা সংশয় তৈরি হয়৷ পর্ষদের কর্তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠেছে৷ এই সমস্ত কিছুর ভিত্তিতেই এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন৷ এফআইআর দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করবে সিবিআই৷