একবালপুর যাওয়ার পথে গ্রেফতার সুকান্ত, প্রতিবাদে লালবাজারে শুভেন্দুরা

একবালপুর যাওয়ার পথে গ্রেফতার সুকান্ত, প্রতিবাদে লালবাজারে শুভেন্দুরা

কলকাতা: লক্ষ্মী পুজোর দিন অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল কলকাতার একবালপুর, মোমিনপুর এলাকায়। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে, পরে একবালপুর থানা ভাঙচুর করা হয়। ঘটনায় কলকাতা পুলিশের দুই ডিসি-সহ ৫ জন আহত হন। এই পরিস্থিতিতে এলাকা পরিদর্শনে যেতে চেয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। তাঁকেই গ্রেফতার করার প্রতিবাদে এদিন লালবাজারে পৌঁছে যান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, অগ্মিমিত্রা পাল, অশোক দিন্দাসহ ২১ জন বিজেপি বিধায়ক। সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তারা।

আরও পড়ুন- প্রয়াত উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদব, বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর

বিজেপির দাবি ছিল, নগরপাল বীনিত গোয়েলের সঙ্গে দেখা করতে দিতে হবে তাদের। কিন্তু তেমনটা না হওয়ায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। লালবাজারের সামনেই বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সুকান্ত মজুমদারকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বাংলার পুলিশ নয়, তাঁকে গ্রেফতার করেছিল মমতার পুলিশ। রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতি চলছে বলেও আক্রমণ করেছেন তিনি। এরপর মোমিনপুরের পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বিজেপির প্রতিনিধি দল। উল্লেখ্য, আপাতত আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে একবালপুর থানা এলাকায়। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সেখানে গেলে পরিস্থিতি আরও বেগতিক হতে পারে বলেই তাঁকে আটক করা হয়েছে বলে অনুমান।

ইতিমধ্যে আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বাংলার রাজ্যপাল লা গণেশনকে এই ইস্যুতে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর আবারও দাবি, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। একবালপুর থানার লুটপাটের পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক, এমনও দাবি জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *