কলকাতা: এক সময় তিনি ছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির পরিচারক৷ সেই তিনিই এখন বোলপুর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। নাম বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মুন৷ এই মুনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেই হয়েছে কোটি কোটি টাকার লেনদেন। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রতর বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিটে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে সিবিআই।
আরও পড়ুন- সুস্থতা স্বস্তি দিচ্ছে বঙ্গবাসীকে, দৈনিক সংক্রমণের রূপ কী
২০১১ সালে অনুব্রতর বাড়িতে পরিচারক হিসাবে কাজ যোগ দিয়েছিলেন বিশ্বজ্যোতি। মাসিক বেতন ছিল ৫ হাজার টাকা৷ সেই বিশ্বজ্যোতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কী ভাবে প্রায় ৪৬ লক্ষ টাকা জমা পড়ল? সেই উত্তর খুঁজছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বিশ্বজ্যোতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে যে লেনদেন হয়েছে, তার সবটাই অনুব্রত মণ্ডল কিংবা তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের অঙ্গুলিহেলনেই৷
এদিকে, গরু পাচার মামলায় গ্রেফতারের ৫৭ দিনের মাথায় গত ৭ অক্টোবর আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। চার্জশিটে সিবিআই-এর দাবি, বেতন হিসাবে অনুব্রতের পরিবারের কাছ থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা পান বিশ্বজ্যোতি। এর বাইরে তাঁর উপার্জনের অন্য কোনও উৎস নেই। অথচ, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বোলপুর শাখায় মুনের নামে থাকা অ্যাকাউন্টে সব মিলিয়ে ৫১ বারে মোট ৪৫ লক্ষ ৭৩ হাজার ৬০৪ টাকা নগদ জমা পড়েছে। ৮ বার অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফারের মাধ্যমে জমা করা হয়েছে ৬২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩৪৫ টাকা।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকদের দাবি, বিশ্বজ্যোতি নিজে তাদের জানিয়েছেন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি তাঁর নামে থাকলেও তার নিয়ন্ত্রণ ছিল অনুব্রত ও সায়গলের হাতে। অনুব্রতর নির্দেশেই তিনি ভাউচার ও চেকে সই করতেন। মাঝেমধ্যে টাকা তোলার স্লিপে সই করার নির্দেশ আসত সায়গলের কাছ থেকেও।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>