ভুবনেশ্বর: একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় গোটা বাংলা৷ রাস্তায় পড়ে থেকে ক্রমাগত আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন যোগ্য অথচ বঞ্চিত প্রার্থীরা৷ অভাব রয়েছে স্থায়ী চাকরির৷ বদলে অস্থায়ী চাকরির হিড়িক৷ বাংলায় যখন চাকরির এই ভয়ঙ্কর রূপ, তখন ৫৭ হাজার চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীকে স্থায়ীকরণের কথা ঘোষণা করল ওডিশার নবীন পট্টনায়ের সরকার৷ শুধু তাই নয়, পাকাপাকিভাবে চুক্তিভিত্তিক ব্যবস্থা বাতিল করার কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
আরও পড়ুন- সম্মতি দিলেন রাষ্ট্রপতিও, নতুন প্রধান বিচারপতির শপথ আগামী মাসেই
পড়শি রাজ্য যখন চাকরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করছে, তখন এ রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ী পদে পড়ে রয়েছেন শ্রম দফতরের ৪৮০ জন কর্মচারী৷ তাঁরাও অনেক আবেদন জানিয়েছেন, দরজায় দরজায় ঘুরেছেন, কিন্তু তাঁদের স্থায়ীকরণ হয়নি৷ এদিকে সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী পট্টনায়েক একটি ভিডিয়ো বার্তায় বলেন,‘‘আজ, এই ঘোষণা করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত যে, রাজ্য মন্ত্রিসভা পাকাপাকি ভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পদ্ধতি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি এই মুহূর্তটার জন্যেই অপেক্ষা করছিলাম৷ আজও অনেক রাজ্যে নিয়মিত নিয়োগ নেই৷ তারা এখনও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মাধ্যমে কাজ চালাচ্ছে৷ কিন্তু, ওড়িশায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের যুগের অবসান ঘটল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সরকার বছরে প্রায় ১,৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়াচ্ছে৷ সরকারের এই সিদ্ধান্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যদের দীপাবলি আগাম খুশি নিয়ে এল৷’’ রবিবার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
২০১৩ সাল থেকেই ওডিশায় আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পদ্ধতি বিলোপের কাজ শুরু হয়েছিল। এবার সম্পূর্ণ ভাবে তা বিলোপ করা হল৷ সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদের ৫৭ হাজার কর্মচারী উপকৃত হবেন৷ তাঁদের অধিকাংশই স্কুল, গৃহ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে কর্মরত৷ প্রসঙ্গত, ওড়িশায় বর্তমানে ৩.৮ লক্ষ স্থায়ী সরকারি কর্মচারী আছেন।
এদিকে, এ রাজ্যে এসএসসি গ্রপ সি, গ্রুপ ডি নিয়োগে ব্যপক দুর্নীতি হয়েছে৷ শুধু টাকার বিনিময়ে চাকরি নয়, সাদা খাতা জমা দিয়েও চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে৷ একই অভিযোগ রয়েছে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>
এদিকে, ২০১৩ সালে ওডিশা সরকার গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি পদে (চুক্তিমূলক কর্মসংস্থান) বিজ্ঞপ্তি জারি করে৷ তবে গত ছয় বছর তাঁদের স্থায়ী করা সম্ভব হয়নি৷ এবার তাঁরা স্থায়ী চাকরি পাবেন৷