কলকাতা: টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশি ‘অত্যাচার’কে ধিক্কার জানিয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি বা STEA। সংগঠনের সভাপতি গৌতম মহান্তি এবং সাধারণ সম্পাদক নীলকান্ত ঘোষ এই নিয়ে এদিন যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। একই সঙ্গে একাধিক দাবিও রয়েছে তাদের।
আরও পড়ুন- ‘তাঁর নাটক ধরা পড়ে গেছে’, মমতাকে তুলোধনা করলেন অগ্নিমিত্রা
বিবৃতিতে তারা জানান, গত ৩ দিন ধরে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরি পরীক্ষার্থীরা নিয়োগের দাবিতে করুণাময়ীতে অনশন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন যা শিক্ষক আন্দোলনের ক্ষেত্রে নজিরবিহীন ও প্রেরণাদায়ক। শিক্ষক নিয়োগে যে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি হয়েছে, তা আজ প্রমাণিত । অথচ অযোগ্যদের বরখাস্ত করে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের ন্যায়সঙ্গত দাবিতে অনশন আন্দোলন ৮৪ ঘন্টা পেরোলেও সরকার আন্দোলনকারীদের দাবিকে স্বীকৃতি দেয়নি। উলটে মধ্য রাতে বিরাট পুলিশ বাহিনী দিয়ে বর্বরোচিতভাবে তাদের তুলে নিয়ে যায়, লাঠিচার্জ করে। এই ইস্যুতে STEA শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কণ্ঠরোধ করার সরকারি ঘৃণ্য পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং সমস্ত শিক্ষক, ছাত্র, অভিভাবক সমাজকে এই ন্যক্কারজনক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হওয়ার আবেদন করছে।
এই বিবৃতির পাশাপাশি তাদের আরও দাবি, ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের তৎকালীন শূন্যপদের নিরিখে দ্রুত নিয়োগ করতে হবে। ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের সেই সময়ে ঘোষিত শূন্যপদের সংখ্যা অনুযায়ী নিয়োগ করতে হবে। এছাড়া সমস্ত শূন্যপদে স্থায়ী ও স্বচ্ছ ভাবে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করতে হবে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত সকল নেতা মন্ত্রী আমলাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।