সোনারপুর: মাঝেমধ্যে বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে থাকত সে। একা নয়, সঙ্গে থাকত আরও অনেকে। সেই বন্ধুর বাড়ি থেকেই উদ্ধার হল যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ। তাকে গুলি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবকের বুকে এবং হাতে গুলি লেগেছিল। ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুটি গুলির খোলও। সোনারপুরের এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। স্থানীয়দের ক্ষোভ বাড়ছে কারণ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন : দৃষ্টিহীন নাবালিকাকে নয়া দিশা দেওয়ার চেষ্টায় সমাজসেবী, নিলেন বড় উদ্যোগ
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? জানা গিয়েছে, লাল্টু হাজরা নামের এক যুবক কামরাবাদ এলাকায় এক বন্ধুর বাড়িতে ছিল। অন্যদিন একসঙ্গে অনেকজন থাকলেও শুক্রবার রাতে কেউই ছিল না, সে ছাড়া। সেই রাতেই ওই বাড়ি থেকে তার গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। লাল্টুর এক বন্ধু পুলিশকে জানিয়েছে, তার সঙ্গে লাল্টুর রাত ১২ টার পর কিছুক্ষণ কথা হয়েছিল। তারপর আর কোনও কথা হয়নি। পরে রাত ২ টো নাগাদ বাড়ি গেলে ঘর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে সে। ওই বন্ধুর কথায়, লাল্টুর দেহ দেখে সে ভয়ে সিটিয়ে গিয়েছিল এবং সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশে খবর দেয়। সোনারপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২ রাউন্ড গুলি ও গুলির খোল উদ্ধার করেছে।
লাল্টুর পরিবারের তরফে জানান হয়েছে, এমনিতে তার কোনও শত্রু ছিল না। তবে তাদের অনুমান বন্ধুদের মধ্যেই কেউ কোনও কারণে এই কাজ করেছে। খুব পরিকল্পনা করে এই খুন করা হয়েছে বলে দাবি তাদের। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, গুলির আঘাতেই লাল্টুর মৃত্যু হয়েছে সেটাই ধারণা। তাও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না এলে স্পষ্টভাবে মত দেওয়া যাবে না। কে বা কারা এই কাজ করল তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। গুলি করার আগে লালটুকে মারধর করা হয়েছে কিনা বা মাদক খাওয়ানো হয়েছিল কিনা তাও জানা যায়নি।