দৃষ্টিহীন নাবালিকাকে নয়া দিশা দেওয়ার চেষ্টায় সমাজসেবী, নিলেন বড় উদ্যোগ

দৃষ্টিহীন নাবালিকাকে নয়া দিশা দেওয়ার চেষ্টায় সমাজসেবী, নিলেন বড় উদ্যোগ

শিলিগুড়ি: তার চোখের দৃষ্টি আর ফিরে আসা সম্ভব নয়। পৃথিবীতে কোথাও এর চিকিৎসা নেই। ইশিকার মা’কে এই কথাই জানিয়েছেন শিলিগুড়ির বিভিন্ন চিকিৎসক এবং চক্ষু বিশেষজ্ঞরা। স্বাভাবিকভাবেই তিনি ভেঙে পড়েছিলেন এই কথা শুনে। কিন্তু তাঁকে হার মানতে দেননি সমাজসেবী এবং ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ খ্যাত শুক্লা দেবনাথ। চোখে না দেখতে পেলেও ইশিকা যে আর কত কী করতে পারে সেই দিশাই দিলেন তিনি। আর তার জন্য নিলেন বড় উদ্যোগ।

আরও পড়ুন- ঐন্দ্রিলার পাশে সারক্ষণ বসে সব্যসাচী, কী ভাবে হাসপাতালে দিন কাটছে তাঁর?

মাত্র ১১ বছর বয়স ইশিকা মুন্ডার। তার মা চা বাগানের পাতা তোলার কাজ করেন। বাবা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। ইশিকা চোখে দেখতে পায় না। চোখের চিকিৎসার জন্য তার মা তাকে কালচিনি থেকে শিলিগুড়ি নিয়ে আসেন ঠিকই কিন্তু আশানুরুপ কোনও ফলই পাননি। চিকিৎসকরা তাকে জবাব দিয়েই দিয়েছেন। সব শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন ইশিকার মা। মেয়ের আগামী দিন কী ভাবে নিরাপদ হবে, তাকে বাড়িতে কী করে একা রাখা যাবে, সব নিয়েই ভাবতে থাকেন। কিন্তু তাঁর চিন্তা দূর করতে তাঁকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সমাজসেবী শুক্লা দেবনাথ। তিনি তাঁকে বুঝিয়েছেন, ইশিকা চোখে দেখতে পায় না ঠিকই, কিন্তু সে কথা বলতে পারে এবং সেটাকে মাধ্যম করে সে জীবনে অন্ধকার জীবনকে কাটিয়ে উঠতে পারে। এরপরই শুক্লা শালুগাড়ার বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের স্কুল ‘প্রেরণার’ সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের নিয়ে পৌঁছে যান সেই স্কুলে।

‘প্রেরণায়’ প্রতিভাবান বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের অসামান্য সব কাজের নমুনা ফুটে উঠেছে। কেউ হাতের কাজ শিখছে, কেউ দৃষ্টিহীনতা এবং অন্য প্রতিবন্ধকতা  উপেক্ষা করে পড়াশোনা শিখছে। এখান থেকেই দৃষ্টিহীন ছেলেমেয়েরা মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আবার প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে কেউ কেউ খেলাধুলাও করছে। সমাজসেবী শুক্লা চান,  চা শ্রমিক গ্রামের মেয়ে ইশিকাও সেখান থেকে ‘প্রেরণা’ পান জীবনে কিছু করার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *