ব্রেকিং: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভুয়ো সুপারিশ প্রকাশ করতে হবে, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

ব্রেকিং: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভুয়ো সুপারিশ প্রকাশ করতে হবে, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

 কলকাতা: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসএসসি নবম-দশমে ১৮৩ ভুয়ো শিক্ষকদের সুপারিশের তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ কমিশনের ওয়েবসাইটে এই তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘এঁদের মধ্যে কতজন, কোন স্কুলে কর্মরত, তা জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে জানতে চাইবে কমিশন’’৷ 

আরও পড়ুন- বছর পড়তেই ৩% DA বাড়বে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের? তৎপরতা নবান্নে

রিপোর্ট অনুযায়ী, নবম-দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে ১৮৩ জন সুপারিশ পেয়েছিলেন এসএসসি’র তরফে৷ স্কুল সার্ভিস কমিশনের বক্তব্য ছিল, এঁদের মধ্যে ২০ জনের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে৷ এদিন বিচারপতি জানান, ১৮৩ জনের যে তালিকা রয়েছে, তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে তাঁদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে৷  

দ্বিতীয় নির্দেশ বলা হয়েছে, ১৮৩ জনের মধ্যে কতজন কর্মরত রয়েছেন, তাঁরা কোন কোন স্কুলে কাজ করছেন, সেই তালিকা জেলা স্কুল পরদর্শকের কাছে চেয়ে পাঠাবে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ তাঁর নির্দেশ, ‘‘তিন দিনের মধ্যে কমিশনকে এই তথ্য জানাবেন জেলা স্কুল পরিদর্শকেরা।’’ কোনও ডিএসআই ঠিক মতো কাজ না করলে তাঁর বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্ট কড়া পদক্ষেপ করবে বলেও হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের৷ 

এদিকে, গাজিয়াবাদ এবং এসএসসি দফতর থেকে মোট ২টি করে হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই৷ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানান, গাজিয়াবাদের হার্ডডিস্কের সঙ্গে কলকাতা থেকে উদ্ধার হওয়া হার্ডডিস্কে নম্বরের বিস্তর ফারাক রয়েছে৷ গাজিয়াবাদের হার্ডডিস্কে যেখানে কেউ শূন্য কিংবা ১-২ পেয়েছেন, কলকাতার এসএসসি দফতর থেকে বাজেয়াপ্ত হার্ডডিস্কে সেই নম্বরটাই বেড়ে ৫০,৫২, ৫৩ হয়ে গিয়েছে৷ 

ওই হার্ডডিস্কগুলি থেকে নমুনা হিসাবে ৪০টি ওএমআর শিট সিবিআই-এর তরফে হাইকোর্টে এবং এসএসসি-কে দেওয়া হয়েছে৷ এর প্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ, আগামী ৩ ডিসেম্বর এসএসসি কর্তৃপক্ষ, মামলাকারী এবং সিবিআই নিজেদের মধ্যে বৈঠক করবেন। গাজিয়াবাদ এবং এসএসসির দফতর থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া হার্ডডিস্ক থেকে ইতিমধ্যেই ওএমআর শিটের যে নমুনা দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে সিবিআই। এসএসসির উদ্দেশে বিচারপতি মন্তব্য, ‘‘কোনও রকম ভয় পাবেন না। অনেক ধেড়ে ইঁদুর বেরোবে।’’

পাশাপাশি এদিন বিচারপতি বলেন, তিনি সিবিআই-এর কাছ থেকে জানতে পেরেছেন, জেরায় কোনও ভাবেই মুখ খুলছেন না এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সুবীরেশ ভট্টাচার্য৷ তদন্তে সহযোগিতা করছে না তিনি৷ বিচারপতি বলেন, সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে মুখ খুলতেই হবে৷ এবং সেই কাজ করাতে হবে সিবিআই-কে৷ প্রয়োজনে তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়েও জেরা করতে পারবেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷ সেই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, সুবীরেশ ভট্টাচার্য মুখ না খুললে তিনি এমন পদক্ষেপ করবেন, যা আগে কখনও ঘটেনি৷ বিকেল ৩টের মধ্যে সিবিআই আধিকারিকদের এই সংক্রান্ত তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷