পেলে আর কলকাতা, উৎসবের শহরে ফুটবল সম্রাটের ছাপ থাকবে আজীবন

পেলে আর কলকাতা, উৎসবের শহরে ফুটবল সম্রাটের ছাপ থাকবে আজীবন

519eed716d52d7178a844c755b60aeb2

কলকাতা: তিনি চলে গিয়েছেন কিন্তু রেখে গিয়েছেন অনেক কিছু। তাঁকে মানবদেহ রূপে আর পাওয়া যাবে না ঠিকই, কিন্তু স্মৃতির শহরে তাঁর বাস থাকবে চিরকাল। ফুটবল সম্রাট পেলে বিশ্ববাসীর জন্য গর্ব, তবে তাঁর প্রতি আলাদা ভালোবাসা রয়েছে তিলোত্তমার। শহর কলকাতার সঙ্গে ভালোবাসার টান ছিল তাঁর, তাই তো একবার নয়, দু’বার এই শহরে পদচিহ্ন ফেলেছিলেন পেলে। সেই স্মৃতি এখনও তরতাজা।

আরও পড়ুন- অভিনেতা, গায়ক, গীতিকার… ফুটবলার ছাড়াও আরও অনেক কিছু ছিলেন পেলে

১৯৭৭ সালে প্রথমবার ভারতের মাটিতে তথা কলকাতা শহরে পা রাখেন ফুটবল কিংবদন্তি পেলে। সেই সময় তিনি কসমস ক্লাবে খেলেন। কলকাতা ইডেন গার্ডেনে মোহনবাগান দলের বিরুদ্ধে তাঁর দলের খেলা ছিল। সেপ্টেম্বর মাসের ওই এক দিন শহরের ফুটবল প্রেমীদের উত্তেজনাই আলাদা ছিল। তবে এই ম্যাচে কিন্তু জিততে পারেননি পেলে। বরং তাঁকেই আটকে দিয়েছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। খেলার ফল ছিল ২-২। একটা সময়ে ম্যাচে এগিয়েও ছিল মোহনবাগান। কিন্তু শেষমেষ খেলায় সমতা ফেরায় পেলের কসমস, পেনাল্টি থেকে গোলে করে। তিন বারের ফিফা বিশ্বকাপজয়ী পেলে তাঁর জাদু দেখাতে পারেননি কলকাতায়।

ম্যাচের ফল যাই হোক, পেলে কিন্তু কলকাতার ফুটবল প্রেম দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। আশ্চর্য হয়েছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য, গৌতম সরকার, শ্যাম থাপাদের খেলা দেখে। সুদূর ব্রাজিল পর্যন্ত হয়তো ভারতীয় ফুটবল পৌঁছে গিয়েছিল সেদিনই। আজও সেই ম্যাচ এবং পেলের সঙ্গে ভারতীয় এক ক্লাবের খেলা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে গর্ব হয় সকলের। হার-জিত পরের কথা, গর্বিত হতে হয় এটা ভেবেও যে ভারতীয়দের জন্য তিন বারের ফিফা বিশ্বকাপজয়ী পেলে তাঁর জাদু দেখাতে পারেননি কলকাতায়।

আরও পড়ুন- ভারতে এবার অলিম্পিক্সের আসর! নীল নকশা তৈরি, জানালেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী

কিন্তু কলকাতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক হয়তো সেইদিনই দৃঢ় হয়ে গিয়েছিল। তিলোত্তমার ফুটবল প্রেম, তাঁর প্রতি ভালোবাসা পেলেকে নাড়া দিয়েছিল। তাই তো আবার ২০১৫ সালে তিনি ফিরে এসেছিলেন শহরে। ওই বছর অক্টোবরে ভারত সফর করেন পেলে। এই সময়ে তিনি প্রায় সপ্তাহ খানেক কাটিয়েছিলেন ফুটবলের শহরে। এমনকি বাঙালির প্রধাব উৎসব দুর্গাপূজাতেও সামিল হয়েছিলেন তিনি, আইএসএলের কয়েকটি ম্যাচও দেখেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *