কলকাতা: গঙ্গাসাগর মেলার যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আজই সেখানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হেলিপ্যাড এবং কামারহাট সেতুর উদ্বোধন করার পর মেলা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিলেন তিনি। কুম্ভ মেলার সঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলার তুলনা টেনে মোদী সরকারকে আক্রমণ করেন মমতা। অর্থ সাহায্যের কথা তুলে বঞ্চনার অভিযোগ জানান। পাশাপাশি গঙ্গাসাগর মেলাকে ‘জাতীয় মেলা’ হিসাবে ঘোষণা করার দাবিও তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- বেড়েছে জীবনের ঝুঁকি! কেন্দ্রের নির্দেশে জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা বাংলার রাজ্যপালকে
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কুম্ভমলায় উত্তরপ্রদেশ রাজ্যকে সম্পূর্ণ সাহায্য করে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু গঙ্গাসাগরের ক্ষেত্রে কোনও সাহায্য করা হয় বাংলাকে। মমতার দাবি, কুম্ভমেলায় আকাশ এবং রেলপথের যোগাযোগ দারুণ ভাল। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলার ক্ষেত্রে তেমন ব্যবস্থা নেই আর কেন্দ্রীয় সরকারও সেইভাবে কোনও সাহায্য করে না। উত্তরপ্রদেশ মেলার জন্য টাকা পেলেও বাংলা গঙ্গাসাগর মেলার জন্য ১০ পয়সার বাতাসাও পায় না। মমতার কথায়, ”গঙ্গাসাগর মেলায় ১০ পয়সার বাতাসা দিয়েও উপকার করা হয় না।” মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য, এই মেলার জন্য সব খরচ রাজ্যকেই করতে হয়।
প্রসঙ্গত, গঙ্গাসাগর নিয়ে বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীদের ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কপিল মুনির আশ্রমে পুজোও দিতে যাওয়ার কথা তাঁর। ইতিমধ্যেই কপিল মুনির আশ্রম থেকে শুরু করে সমগ্র মেলা চত্বর ঘিরে ফেলা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখছেন মেলা প্রাঙ্গণের সমস্ত খুঁটিনাটি। ১৪ এবং ১৫ জানুয়ারি সাগরে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান সারবেন তীর্থযাত্রীরা।