কলকাতা: একাধিক বাড়ি এবং রাস্তায় বড় বড় ফাটল। জোশীমঠের বর্তমান চেহারা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তপোবন বিষ্ণুগাড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পই এই ধ্বংসের কারণ। প্রকল্পের কাজে একাধিক নিয়ম ভাঙা হয়েছে। এছাড়া জায়গায় জায়গায় অবৈধ নির্মাণ, সুড়ঙ্গ এবং ‘উন্নয়ন’ এই বিপর্যয়ের মূল কারণ। আর এই ঘটনা ঘটার পর এখন চিন্তা বাড়ছে দার্জিলিং, সিকিম নিয়েও। কিন্তু কেন?
আরও পড়ুন: জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সুড়ঙ্গই কি জোশীমঠের বিপর্যয়ের কারণ? যা বলছে NTPC
জোশীমঠের বাসিন্দারা যে কথা বলেছেন তার মোটামুটি সবটাই মিলে যাচ্ছে দার্জিলিং, সিকিম নিয়ে। অবৈধ নির্মাণ থেকে শুরু করে পাহাড়ে একাধিক সুড়ঙ্গ তৈরি কাজ, প্রকল্পের কাজ, গাছ কাটা সব নিয়ে একটা চিন্তার আবহ তৈরি হয়েছে। পুরসভা সম্প্রতি অবৈধ নির্মাণের তালিকা তৈরি করলেও এখনও সেইভাবে কোনও পদক্ষেপ করতে পারেনি। এদিকে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে একাধিকবার ধসের ঘটনা ঘটেছে দার্জিলিং, কালিম্পং, সিকিমের বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু এই নিয়ে কারোর কোনও হুঁশ নেই। পরপর ধসের ঘটনায় একাধিক প্রাণ পর্যন্ত চলে গিয়েছে কিন্তু ‘উন্নয়ন’-এর কাজ বন্ধ হয়নি বলেই দাবি অনেকের। তাই আশঙ্কা, আগামী দিনে এই সব জায়গার অবস্থাও জোশীমঠের মতো হবে কিনা।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, আগে পাহাড়ে মূলত কাঠের বাড়ি দেখা যেত। কিন্তু এখন বিরাট বিরাট হোটেল, রিসোর্ট তৈরি হচ্ছে কংক্রিট দিয়ে। রাস্তা কেটে বিভিন্ন কাজ করা হচ্ছে। এতেই পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে পাহাড়ে। এই প্রেক্ষিতেই ভয় বাড়ছে যে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে শৈলশহর সহ অন্যান্য পাহাড়ি জায়গা জোশীমঠের মতো না হয়ে যায়।