কলকাতা: বারাণসীর ঘাটে যে ভাবে গঙ্গা আরতি হয়, ঠিক সেভাবেই কলকাতাতেও এবার থেকে শুরু হবে গঙ্গা আরতি৷ বৃহস্পতিবার ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনেই এই উদ্যোগ শুরু করবে রাজ্য সরকার। কলকাতা পুরসভাকে তেমনই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আগামীকাল থেকে বাবুঘাটে শুরু হবে গঙ্গা আরতি। বুধবার বাবুঘাটে গঙ্গাসাগর মেলার পুণ্যার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ই এই ঘোষণা করেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পঞ্চশঙ্খের আয়োজন করতে হবে। বাবুঘাট অন্যতম দর্শনীয় জায়গা হতে চলেছে।” মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, যাঁরা নিয়মবিধি জানেন, তাঁদের দিয়েই যেন গঙ্গা আরতি করানো হয়৷ যাতে কোনও অঘটন না হয়৷ তিনি আরও বলেন, “খুব শীঘ্রই তারাপীঠ, বেলুড় এবং দক্ষিণেশ্বরেও এই উদ্যোগ চালু করা হবে। স্থানীয়ভাবে বাবুঘাটকে মডেল করে গঙ্গা আরতির উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।” কলকাতার ঘাটে গঙ্গা-আরতি শুরু হলে তা তিলোত্তমার অন্যতম নজরকাড়া ‘ডেস্টিনেশন’ হয়ে উঠবে বলেও আশাবাদী তিনি।
আরও পড়ুন- লালনের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে খুশি নয় হাইকোর্ট, বড় দায়িত্ব দুই হাসপাতালকে
এদিন গঙ্গাসাগর মেলার প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, “আগে সাগরে আগে কিছু ছিল না। আমাদের সরকার আসার পর সেখানে উন্নতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় যশের পরও সেখানে সবকিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল। আমরা আবার সেখানে নতুন করে উন্নয়ন করেছি। হেলিপ্যাড, গেস্টহাউস, আলো- সাজিয়ে তোলা হয়েছে সাগরকে। এক হাজার বায়ো টয়লেট তৈরি করা হয়েছে।” প্রসঙ্গত, এর আগে কেন্দ্রের কাছে গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা ঘোষণা করার আর্জি জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন নাম না করে একহাত নেন বিজেপি’কে৷ তিনি বলেন, ‘‘গঙ্গা আরতি করার জন্য আগাম পরিকল্পনা থাকা দরকার। আগে একটি প্ল্যানিং তৈরি করে, তারপর কাজ করা উচিত।” সম্ভব্য বিপদের কথাও তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হয়ত কেউ জানে না কোন স্থান পিচ্ছিল হয়ে রয়েছে বা কোথায় জল গভীর রয়েছে। আবার যখন ভরা কোটাল হয়, তখন অন্য এক সতর্কতার দরকার। এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘এই সব দিকগুলি বিবেচনা করেই সরকার যে কোনও অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়।” প্রসঙ্গত, গতকাল কলকাতায় বিজেপির গঙ্গা আরতি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে অনুমতি দেয়নি পুলিশ।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>