কলকাতা: এজলাস বয়কট করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক জায়গায় বিভিন্ন পোস্টারও লাগানো হয়েছিল। সেই পোস্টার লাগানোর ঘটনায় এবার রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল আদালত। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে আগামী ৭ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট দিতে হবে রাজ্যকে। তার পাল্টা হলফনামা দেবেন মামলকারীও।
আরও পড়ুন- সূচনার ৩ দিনের মাথায় ধাক্কা! মাঝ নদীতে আটকে গেল ‘গঙ্গা বিলাস’
এদিন এই মামলার শুনানিতে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জনস্বার্থ মামলায় পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর সওয়াল, ঘটনার ৪-৫ দিন হয়ে গিয়েছে কিন্তু পুলিশ কী পদক্ষেপ করেছে তা জানা যায়নি। এদিকে যাঁরা পোস্টার লাগিয়েছে তাঁদের খোঁজার কাজ পুলিশ শুরু করেছে কিনা, তাও অজানা। এই বিষয়ে জানার পরই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে জানতে চায় হাইকোর্ট। আগামী ৩০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। অন্যদিকে আজই এই ঘটনা সংক্রান্ত আদালত অবমাননার রুল ইস্যু মামলায় বড় নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। স্পষ্ট জানান হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে কোনও মিটিং, মিছিল করা যাবে না, কোনও পোস্টার মারা যাবে না।
আজ এই মামলার শুনানি হয়েছে তিন বিচারপতির বেঞ্চে। সেই শুনানি থেকেই নির্দেশ এসেছে কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে বিচারপতির বাড়ির সামনে পোস্টার মারার ঘটনার তদন্ত কতদূর। এদিকে লেক থানা এবং কলকাতা হাইকোর্টের আসিস্টেন্ট কমিশনার অফ পুলিশের কাছে ঘটনা সম্পর্কে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। অন্যদিকে, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের সামনে গত ৯ জানুয়ারির বয়কটের ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে কিনা তা জানতে তলব করা হয়েছে রেজিস্টার জেনারেলকে।