ব্যঙ্গচিত্র মামলায় ১১ বছর পর ‘মুক্তি’, ‘গণতন্ত্রপ্রিয় নাগরিকের জয়’ বললেন অম্বিকেশ

ব্যঙ্গচিত্র মামলায় ১১ বছর পর ‘মুক্তি’, ‘গণতন্ত্রপ্রিয় নাগরিকের জয়’ বললেন অম্বিকেশ

 কলকাতা: এক দশকেরও বেশি সময় পর অবশেষে অব্যাহতি৷ ফৌজদারি মামলা থেকে নিস্তার পেলেন কার্টুন কাণ্ডে জেলে যাওয়া যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র৷ বৃহস্পতিবার  ১১ বছরের পুরনো মামলা নিষ্পত্তি করে আলিপুর জেলা আদালত। তাঁর কাছে এটা ‘গণতন্ত্রপ্রিয় নাগরিকের জয়’৷ 

আরও পড়ুন- কুন্তল ঘনিষ্ঠ বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনুর বাড়িতে এবার ইডির তল্লাশি!

২০১২ সালে রেলমন্ত্রী বদলের সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দীনেশ ত্রিবেদী এবং মুকুল রায়ের ছবি দিয়েছিলেন তিনি। ওই পোস্টের জন্য গ্রেফতার হন অম্বিকেশ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে  হয় রাজ্য রাজনীতি৷ বহু লেখালিখি হয় তাঁকে নিয়ে  অবশেষে সেই মামলা থেকে মুক্তি পেলেন যাদবপুরের এই অধ্যাপক।

অম্বিকেশ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৬-এ ধারায় মামলা করা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ওই ধারার প্রয়োগ করে বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছিল। ২০১৫ সালে একটি জনস্বার্থ মামলায় ঐতিহাসিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, শীর্ষ আদালতের রায়ে ওই ধারাটাই ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে।’

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপক আরও বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট ওই ধারা বিলোপ করার পরেও নানা অছিলায় ওই মামলা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। নিশ্চিতভাবেই কেউ না কেউ প্রভাব খাটিয়ে এটা করাচ্ছিল। আমার বিশ্বাস ছিল সত্যের জয় হবে, হয়েছে।’’

আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, অম্বিকেশ মহাপাত্রর বিরুদ্ধে যে সমস্ত ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল তার সবক’টিই ছিল জামিনযোগ্য ধারা। তারপরেও তাঁকে লকআপে রাখা হয়েছিল। ১১ বছরের পুরনো সেই মামলা থেকে অব্যাহতি মেলার পর অম্বিকেশ বলেন, ‘বলা হয়েছিল আমি নাকি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু, এত বছরে পুলিশ আদালতে আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি।’