বনগাঁ: পঞ্চায়েত ভোটকে নজরে রেখেই তৃণমূল কংগ্রেস ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি জোর দিয়ে পালন করছে। বঙ্গের নানা জায়গায় ‘দিদির দূত’ হয়ে যাচ্ছেন নেতা-নেত্রীরা। শুক্রবার ‘দিদির দূত’ হিসাবে বনগাঁয় গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি যা মন্তব্য করলেন বা বলা ভাল নিদান দিলেন তাতে বোধ করা যায় যে শাসক দল অস্বস্তিতে পড়বে। সাংসদের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
আরও পড়ুন- শব্দ দূষণ নিয়ে কী পদক্ষেপ? রাজ্যের কাছে উত্তর চাইল হাইকোর্ট
শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর চৌবেড়িয়া-২ পঞ্চায়েত এলাকায় ‘দিদির দূত’ হিসাবে গিয়েছিলেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। সেখানে তাঁকে দেখে রাস্তার দাবি জানান গ্রামবাসীরা। সেই সময়ে তাদের উদ্দেশে এমন মন্তব্য তিনি করলেন যা বিতর্কিত। কাকলি বলেন, আগে তাঁদের (তৃণমূলকে) ভোট দিতে হবে, তারপর রাস্তা হবে। আসলে কাকলি জানতে পেরেছিলেন যে, সেখানে পঞ্চায়েতের সদস্য বিজেপি। তাই হাসতে হাসতে তিনি এই কথাই বলেন। জানা গিয়েছে, সাংসদের বক্তব্য ছিল, যেমন বিজেপিকে ভোট দেওয়া হয়েছে, তেমনই হয়েছে। আসলে একজন জানিয়েছিলেন, রাস্তার কাজ আর ১০ শতাংশ বাকি। তখনই এই মন্তব্য করেন কাকলি।
যদিও তৃণমূল সাংসদের দাবি তিনি মজার ছলে এমন মন্তব্য করেছেন। কিন্তু বিজেপি এই ইস্যুকে সহজে ছাড়বে না। তারা ইতিমধ্যেই চরম বিরোধিতা শুরু করেছে। ঘাসফুল শিবিরের এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন শাসকদলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও নেতানেত্রীরা। এতদিনে অধিকাংশ সময়ে তাঁদের বেশিরভাগকে স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখেই পড়তে হয়েছে। সেটা নিয়ে চাপে আছে তৃণমূল। এবার খোদ দলের সাংসদ যে মন্তব্য করেছেন তা নিয়ে অবশ্যভাবে আরও চাপ বাড়ছে শীর্ষ মহলের ওপর।