খুলে গেল ‘নরকের দ্বার’! কোন বিপদের সঙ্কেত?

খুলে গেল ‘নরকের দ্বার’! কোন বিপদের সঙ্কেত?

9d0ff635caee49b635995acf10fc041a

ক্যালিফোর্নিয়া: এ যেন প্রকৃতির এক অদ্ভূত রহস্য৷ জলাধারের মাঝে বেরিয়ে এল এক প্রকাণ্ড গর্ত৷ খুলে গেল নরকের দ্বার! এই অদ্ভূত দৃশ্য দেখা গেল ক্যালিফোর্নিয়া-র পূর্বে অবস্থিত নাপা ভ্যালির লেক বেরিয়েসা জলাধারে৷ 

আরও পড়ুন- কৃষ্ণসাগরে ডুবেছে রুশ যুদ্ধজাহাজ! ইউক্রেনের হামলা না নিজেদের ‘ভুল’

বহু বছর ধরেই স্থানীয় বাসিন্দারা এই অদ্ভূত প্রাকৃতিক রহস্যের সাক্ষী৷ এর আগে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে এই প্রকাণ্ড গর্তের দেখা মিলেছিল৷ স্থানীয় বাসিন্দারা এর নাম দেন ‘পোর্টাল টু হেল’৷ অর্থাৎ নরকের দ্বার৷ তবে পর্যটকদের মধ্যে এটি ‘গ্লোরি হোল’ নামেও পরিচিত৷ ১৯৫০ সালে প্রথম এই গর্ত চাক্ষুশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ 

জানা গিয়েছে, ৭২ বছর আগে নাপা ভ্যালির  জলাধারে বাঁধ তৈরি করা হয়েছিল৷ বাঁধে জলের ধারা নিয়ন্ত্রণ করতে কয়েকটি সুড়ঙ্গ বানানো হয়৷ পরবর্তী সময় সেখানেই জলাধারের মাঝে বড় গর্ত সৃষ্টি হয়৷ যেখান দিয়ে  ঘূর্ণিপাকের মতো ঘুরতে ঘুরতে মাটির ভিতর  পৌঁছে যায় জল৷  

লেক বেরিয়েসায় জল ধারণ ক্ষমতা ৫২০ কোটি গ্যালন৷ এর চেয়ে বেশি জল জমা হলেই ‘পোর্টাল টু হেলে’র ভিতরে ঢুকতে শুরু করে জল৷ ২০১৮ সালে প্রথম জলাধারে উপচে পড়ে জল৷ ২০১৯ সালে আরও একবার সুরঙ্গপথ খুলে যায় ভারী বৃষ্টিপাতের পর৷ 

জানেন কী ভাবে তৈরি হল এই নরকের দ্বার? 

বিশেষজ্ঞদের মতে, জলাধারের জলস্তর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলেই ওই গর্তের মধ্যে ঘূর্ণর সৃষ্টি হয়৷ এই সুরঙ্গ আকারে ৭২ ফুট চওড়া ও ২৪৫ ফুট লম্বা৷ যা ড্রেন হোল হিসাবে কাজ করে৷ আনুমানিক ৪৮ হাজার কিউবিক জল গিলে খেতে পারে এই প্রকাণ্ড গর্ত৷ 

এমনই একটি গর্ত রয়েছে কাজাকিস্তানেও৷ সেখান থেকে আবার আগুন বেরয়৷ ১৯৭০ সালে সোভিয়েত গ্যাস ড্রিলিং অভিযানে তৈরি হয়েছিল গর্তটি৷ এই গর্তটি রয়েছে করাকুম মরুভূমির কাছে৷