কিয়েভ: বিরাট এক বিস্ফোরণ, তারপরেই ডুবে গেল রাশিয়ার যুদ্ধ জাহাজ। পুতিনের দেশ এই বড় ধাক্কা খেয়েছে কৃষ্ণ সাগরে। আর এখন এই ঘটনা নিয়েই ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে জোর তর্ক। জেলেনস্কি বাহিনীর দাবি, তাদের হামলার কারণে রাশিয়ার এই ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়া বলছে, এই ঘটনা তাদের ‘ভুল’। তাহলে আসল ব্যাপার কী? আলোচনা তুঙ্গে এই বিষয় নিয়েই। অনেকেই মনে করছেন, আরও অনেক মিসাইল নিয়ে এগোচ্ছিল ওই যুদ্ধ জাহাজ। সেগুলি আরও বড় হামলা করতে পারত ইউক্রেনে।
আরও পড়ুন- সমূহ বিপদ! পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে কুতুব মিনারের ৩ গুণ বড় এক গ্রহাণু
প্রায় দু’মাস হতে চলল ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের। এর মাঝে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে কিন্তু সমাধান সূত্র মেলেনি। রাশিয়াকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা সহ অন্য দেশ কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। এদিকে ভারত সফরে এসে রাশিয়ান প্রতিনিধি দাবি করেছিলেন যে, ইউক্রেনে কোনও যুদ্ধই হচ্ছে না, ওটা সামরিক অভিযান। বিষয় যাই হোক, দুই দেশের এই সংঘাত নিয়ে চরম উদ্বেগে রয়েছে গোটা বিশ্ব। কারণ যখন-তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। আর হয়তো সেই খারাপ হওয়াটাই আটকে গেল এই জাহাজে বিস্ফোরণ ঘটার কারণে। কৃষ্ণ সাগরে ডুবে যাওয়া জাহাজে অনেক মিসাইল ছিল বলে অনুমান। ইউক্রেন বলছে, তাদের হামলায় ডুবে গিয়েছে এই রাশিয়ান জাহাজ। তবে রাশিয়ার দাবি, জাহাজে মজুত ছিল প্রচুর বারুদ, গোলা। তাতে কোনও ভাবে আগুন লেগেই এই বিপত্তি। এটা তাদের ‘ভুল’।
প্রায় মাস খানেক ধরে রাশিয়ার এই জাহাজ ‘মস্কভা’ ইউক্রেনে হামলার ক্ষেত্রে নৌবাহিনীকে নেতৃত্ব দিচ্ছিল। এখান থেকেই গোলা বর্ষণ করে কিছুদিন আগে প্রায় ২০ জন ইউক্রেনীয় সেনাকে হত্যা করেছে রাশিয়া বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। সেই ভয়ঙ্কর যুদ্ধ জাহাজ ডুবে যাওয়াকে বিরাট স্বস্তি হিসেবেই দেখছে ইউক্রেন। তাদের দাবি, পরপর দুটি মিসাইল ছোড়া হয় ওই জাহাজে, যার ফলেই এই সাফল্য। তবে রাশিয়ান বাহিনী এই দাবি কোনও ভাবেই মানতে রাজি নয়। তারা ইউক্রেনের দাবিকে কোনও রকম গুরুত্ব দিতে চাইছে না। কিন্তু এই যুদ্ধ জাহাজের ক্ষতি যে তাদের কাছে বড় ধাক্কা, এটা মেনে নিচ্ছে মস্কো।
আরও পড়ুন- ৯০ বার করোনা টিকা নিলেন প্রৌঢ়! কারণ অবাক করবে
সম্প্রতি আবার রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদ বা হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল থেকে সাসপেন্ড হতে হয়েছে রাশিয়াকে। এই ভোটাভুটিতে রাশিয়ার সাসপেনশনের পক্ষে ভোট দেয় ৯৩ টি দেশ। ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকে ৫৮ টি দেশ। সেই তালিকায় ছিল ভারতও। অন্যদিকে, রাশিয়ার পক্ষে ভোট দেয় চিন-সহ মোট ২৪ টি সদস্য দেশ।