কলকাতা: বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর ‘ঘনিষ্ঠ’ রামচন্দ্র পাণ্ডার বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআর আসলে কার লেখা, সেই নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ ছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন করেছিল তারা যার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- বেড়েছে জীবনের ঝুঁকি! কেন্দ্রের নির্দেশে জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা বাংলার রাজ্যপালকে
গত ৪ জানুয়ারি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, দুর্নীতির মামলায় রামচন্দ্র পাণ্ডার গ্রেফতারির ঘটনায় সিবিআই তদন্ত করবে। তাঁর বিরুদ্ধে যে এফআইআর করা হয়েছে, সেটা কে করেছে, কী ভাবে হয়েছে, সেই তদন্তই করবে সিবিআই। কারণ ওই মামলার মূল অভিযোগকারি কাকলী পাণ্ডা আদালতে উপস্থিত হয়ে জানিয়েছিলেন, কেউ অভিযোগ লিখে তাঁকে দিয়ে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে তাতে সই করতে বাধ্য করেছে। এরপরেই এই ঘটনায় রামচন্দ্রকে নিঃশর্তে জামিন দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এবার এই সিবিআই তদন্তের বিরোধিতায় সরব হয়েছে রাজ্য।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”বগটুই কাণ্ডেও জড়িত অনুব্রত মণ্ডল? CBI finds link between Anubrata-Anarul on Bogtui carnage day” width=”560″>
আগেই আদালতের দ্বারস্থ হয়ে রামচন্দ্র পাণ্ডা অভিযোগের সুরে বলেছিলেন যে, শুভেন্দু ও সৌমেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মূল অভিযোগ ছিল, কাকলি পাণ্ডার অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৮ ডিসেম্বর একটি মিথ্যে মামলা দায়ের হয়। শাসক দল ভয় দেখিয়ে কাকলি পাণ্ডাকে দিয়ে ওই অভিযোগ দায়ের করেছে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্ট রামচন্দ্র ও কাকলিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশও দেয়।