কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় আবার জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার নগরদায়রা আদালত জানাল, দুর্নীতিতে তাঁর জড়িত থাকার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। তাই জামিন এখনই দেওয়া যাবে না। বিচারক এদিন জানিয়েছেন, আপাতত যে তথ্য সামনে এসেছে তাতে এটা কার্যত প্রমাণ হয়ে যায় যে দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জড়িত থাকার বিরাট সম্ভাবনা। প্রসঙ্গত, এদিনই মামলার শুনানিতে ইডি দাবি করেছিল যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের শিক্ষাকে ১০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন! অসুস্থ বাবাকে ঠেলাগাড়িতে চাপিয়েই হাসপাতালে নিয়ে গেল ছ’বছরের খুদে
নিয়োগ কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর বহু মাস কেটে গিয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখনও নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করে আসছেন। ইডির মামলায় আরও একবার জামিনের আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পার্থ। কিন্তু আজও তাঁর জামিন হল না। দুর্নীতিতে তাঁর জড়িয়ে থাকার সম্ভাবনা আছে এমন মন্তব্য করার পাশাপাশি বিচারক ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্বেও শান দিয়েছেন। তাঁর কথায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাই তাঁর মুক্তি হলে তিনি যে পরবর্তী সময়ে তথ্যের হেরফের করার চেষ্টা করবেন না, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। এখানেও সেই ইডির দাবির পক্ষেই গিয়েছে আদালতের রায়।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”TETএর ফল প্রকাশ, প্রথম বর্ধমানের ইনা! Primary TET results declared, Burdwan’s Ina tops exam” width=”835″>
মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে ইডির আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, দুই মহাপুরুষ দু’রকম কাজ করেছেন। একজন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, যিনি শিক্ষা ব্যবস্থাকে ১০০ বছর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। অন্য জন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, যিনি ১০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছেন শিক্ষাকে, ধ্বংস করে দিয়েছেন শিক্ষা ব্যবস্থাকেই। অন্যদিকে আদালতে আরও একবার দাবি করা হয়েছে যে, দুর্নীতি মামলায় ধৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ নাকি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে একবার তাঁকে দশ লক্ষ টাকা দিয়ে এসেছিলেন।