কলকাতা: কোভিড আতঙ্ক কার্যত কাটিয়ে ওঠার পর এখন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে অ্যাডিনোভাইরাস আতঙ্ক। কলকাতা হোক কিংবা জেলা, হাসপাতালগুলিতে বাড়ছে শিশু রোগীদের সংখ্যা। তবে এতে শুধু বাচ্চারাই আক্রান্ত হচ্ছে তাই নয়, বয়স্করাও রেহাই পাচ্ছে না। ইতিমধ্যে কয়েকজন শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে বলে খবর। এই অবস্থায় একাধিক সতর্কবার্তা জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন- ‘ফ্রি’র দিন শেষ! এবার ফেসবুক-ইন্সটাগ্রামের জন্য খসবে টাকা! চোখ কপালে ইউজারদের
রাজ্যর প্রায় সব হাসপাতালগুলির উদ্দেশ্যে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। বলা হয়েছে, সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে হবে। রাত ১২টা থেকে পরের দিন রাত ১২টার হিসেবে প্রতিদিনের রিপোর্ট করতে হবে। আর নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যকর্তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এবং ইমেলে পাঠাতে হবে সেই নথি। এছাড়া শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জন্য ঠিক কতজন রোগী (শিশু) ভর্তি হল, কতজন মারা গেল সেই সব তথ্য রাখতে হবে হাসপাতালগুলিকে। রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজগুলিতেও দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকা। পাশাপাশি রাজ্যের মানুষের উদ্দেশ্যে তাদের পরামর্শ, ৩ থেকে ৫ দিন টানা জ্বর থাকলে শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলেও সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”২ নতুন সদস্য! জঙ্গলে বাড়ল হাতির সংখ্যা! Two elephant babies born in Bankura forest” width=”853″>
তাহলে ভাইরাস ঠেকাতে কী কী করতে হবে? চিকিৎসকরা বলছেন, বাড়ির প্রাপ্ত বয়স্ক কোনও সদস্যের জ্বর-সর্দি-কাশি ও গলাব্যথা হলে বাচ্চাদের তাঁদের থেকে দূরে রাখতে হবে। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বাড়ানোর দিকে এখন থেকেই নজর দিতে হবে। প্রতি দিন অবশ্যই পাতে রাখতে হবে তেতো, প্রোটিন, রসুন, কাঁচা হলুদ। আর বেশি বেশি করে জল খেতে হবে সকলকেই। জানা গিয়েছে, চিন্তা শুধু অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে নয়। চিন্তা বাড়ছে রাইনো ভাইরাস, প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা, রেসপিরেটরি সিনসেসাল ভাইরাস নিয়েও। শিশুদের পাশাপাশি বয়স্করাও আক্রান্ত হচ্ছেন।