কলকাতা: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রুপ ডি-তে ১ হাজার ৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাঁদের বেতনের অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশও ছিল। যদিও পরে বেতন সংক্রান্ত নির্দেশে স্থগিতাদেশ আসে ডিভিশন বেঞ্চের তরফে। কিন্তু চাকরি বাতিলের নির্দেশ নিয়ে কোনও রকম কিছু জানান হয়নি। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন চাকরি হারানো গ্রুপ-ডি কর্মীরা।
আরও পড়ুন- কিছুই করে না, উস্কানি দেয়! কাজ নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ মমতার
আসলে হাইকোর্টের একক বেঞ্চ যে রায় দিয়েছিল তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এই ইস্যুর শুনানি শেষ হলেও রায়দান বাকি আছে। তার মাঝেই চাকরি বাতিলের নির্দেশের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে গেলেন গ্রুপ-ডি কর্মীরা। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে তাদের বক্তব্য ছিল, তাঁরা শ্রম দিয়েছেন, তাহলে বেতন ফেরাবেন কেন? সেই প্রেক্ষিতে বেতনের নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি হয়। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ জারি থাকবে। ৩ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সেইদিন চাকরি থাকবে কি থাকবে না, সেটাই হয়তো জানা যাবে। তবে তার আগেই কর্মীরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ায় বিষয়ের গুরুত্ব আরও বাড়ল।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”৩ শতাংশ বাড়ল ডিএ! খুশি নন আন্দোলনকারীরা! DA hiked by 3 percent for state government employees” width=”560″>
গ্রুপ-ডি নিয়োগ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মোট ২ হাজার ৮২৩ জনের ওএমআর সিট বিকৃত করে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল বলে কবুল করে নিয়েছে এসএসসি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানায়, এই ২ হাজার ৮২৩ জনের মধ্যে ১ হাজার ৯১১ জনকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনকে নির্দেশ দেন, আইন মেনে অবৈধভাবে চাকরি পাওয়া ১ হাজার ৯১১ জন গ্ৰুপ ডি কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে৷