কলকাতা: বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীদের এক মামলার শুনানিতে তাঁদের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশ। ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ ও মেডিক্যাল রিপোর্ট পুলিশের কাছে চেয়েছে আদালত। একই সঙ্গে হাইকোর্টের প্রশ্ন, ৮৮ জন একসঙ্গে গ্রেফতার হল? আগামী ১ মার্চ এই মামলার পরের শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- অপারেশনের সময় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন চিকিৎসকরা! খাস কলকাতায় এমন ঘটনায় বিস্মিত চিকিৎসক মহল
ভাঙড়ের ঘটনা নিয়ে এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে পুলিশ। নওশাদের গ্রেফতারি নিয়ে বিচারপতির প্রশ্ন, এমন কী গুরুত্বপূর্ণ বিক্ষোভ হয়েছিল যে একসঙ্গে ৮৮ জনকে গ্রেফতার করতে হল পুলিশকে? একজন বা দুজনকে নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে গ্রেফতার করা যায়। কিন্তু একসঙ্গে এতজনকে গ্রেফতার কেন করা হল জানতে চায় আদালত। তবে এও জানান হয়েছে, নেতাদেরও আইন নিজের হাতে তোলা উচিত হয়নি। আগামী ১ মার্চ এই মামলার শুনানি রয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”নবান্নকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কর্মবিরতি! State govt staff observes strike defying Nabanna orders” width=”560″>
ভাঙড়ের ঘটনা ছাড়াও ধর্মতলার বিক্ষোভের ঘটনাতেও গ্রেফতার হয়েছিলেন নওশাদ সিদ্দিকী সহ ২০ জন। হেয়ার স্ট্রিট থানা এবং নিউ মার্কেট থানা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা করে এবং সেই মামলাতেই আপাতত জেলবন্দি হয়েই আছেন সকলে। যদিও ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক। তিনি বলেন, জেল বা জরিমানা করে তাঁকে আটকানো যাবে না। মানুষের জন্য যে লড়াই তিনি করছেন তা চালিয়ে যাবেন। এর পাশাপাশি রাজ্যের বিরুদ্ধে কার্যত ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। নওশাদের দাবি, তাঁকে জেলে আটকে রাখার জন্যই খুনের চেষ্টার মামলা দেওয়া হয়েছে।