নলহাটি: নিয়োগ দুর্নীতিতে এখন একটি নাম নতুন করে ভেসে আসছে। তা হল বিভাস অধিকারী। বীরভূমের বাসিন্দা বিভাস নলহাটির ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি। যদিও এলাকায় অত্যন্ত ধার্মিক হিসেবে পরিচিত চিনি। অন্যদিকে এও জানা যায়, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল বিভাস অধিকারীর এবং নিজ এলাকায় একটি আশ্রমের পাশাপাশি একটি বিএড কলেজ তৈরি করেছিলেন তিনি। সেই তৃণমূল নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধেই সাংবাদিককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এতে সরাসরি নাম উঠে আসছে বিভাসের ছেলের।
আরও পড়ুন- রাস্তায় দাঁড়িয়েই কান্না, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে গ্রিন করিডর করে স্কুলে পৌঁছে দিলেন অফিসার
দুর্নীতি ইস্যুতে নলহাটিতে বিভাস অধিকারীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিল সংবাদমাধ্যম ‘টিভি ৯ বাংলা’। সেখানে গিয়েই আক্রান্ত হন চ্যানেলের সাংবাদিক, ক্যামেরাপার্সন সহ গাড়ির চালক। সাংবাদিক সুজয় পাল নিজে জানিয়েছেন, তৃণমূল নেতার এলাকায় তাঁর বাড়ি, আশ্রম এবং বিএড কলেজে খবর করতে গেলে হুমকি মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের। অভিযোগ, আচমকা তাঁদের গাড়ির সামনে এসে কয়েকজন বাইক আরোহী তাঁকে টেনে হিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করে। কলার ধরে পেটে, হাতে, বুকে ঘুষি চালায়। পুরো ঘটনাটা ঘটেছে বিভাস অধিকারীর ছেলেদের নেতৃত্বে। সাংবাদিক আরও জানান, তাঁর মোবাইল ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় এমনকি আশ্রমে বন্দি করে রেখে প্রাণ মারার হুমকিও পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ক্যামেরা ভাঙচুর করে তাঁর সহকর্মী এবং গাড়ির চালকেও হেনস্থা করা হয়।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”জেলার মুখ উজ্জ্বল করল দিন মজুরের ছেলে! Dhupguri’s Sujoy secures second position in high jump” width=”560″>
জুলুমবাজি শুধু এখানেই শেষ নয়। সাংবাদিক আরও জানিয়েছেন, কেন বিভাস অধিকারীর খবর হচ্ছে তা জানতে চায় তারা। দাবি করে ফেসবুক লাইভে এসে বলতে হবে বিভাস অধিকারী ভাল মানুষ। আশ্রমের বাইরে বের করে এনে বলে ভিডিয়ো করে অফিসকে পাঠাতে। অফিস তা সম্প্রচার করলে তারপর ছাড়বে এমন বলা হয়। জানা গিয়েছে, সাংবাদিকের কথায় অফিসের সন্দেহ হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের দ্বারস্থ হয় চ্যানেল। নলহাটি থানায় গোটা ঘটনা জানিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ফুটবল খেলতে গিয়ে বিপত্তি, পায়ে চোট কুণালের, অস্ত্রোপচার করত বললেন চিকিৎসক
এই গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে দল-মত নির্বিশেষে শাসক এবং বিরোধী সকলে। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, তিনি এই জিনিস কখনও সমর্থন করেন না, যে করেছে, অন্যায় করেছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। অন্যদিকে, বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত বলেছেন, নলহাটিতে যা হয়েছে, তা প্রথম নয়। অনেকবারই হয়েছে এরকম। রাজ্যে অসহিষ্ণুতার যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে, এটি তারই প্রমাণ। ঘটনার ব্যাপক নিন্দা করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, সত্য যাতে প্রকাশ না পায়, তার জন্য তৃণমূল বা বর্তমান সরকার জঘন্য, ঘৃণ্য পন্থা অবলম্বন করছে।