কলকাতা: চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়েই প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে পর্ষদ জানিয়েছিল ঘটনাটি পরিকল্পিত অন্তর্ঘাত। তবে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না তারা। তাই মাধ্যমিকে প্রশ্নফাঁস রুখতে আরও কড়াকড়ির পথে হাঁটল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সোমবার পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় আট দফা নির্দেশিকা জারি করেছেন এই বিষয়ে।
আরও পড়ুন- মাধ্যমিকে অঙ্কে ভয়? পরীক্ষার খাতায় কী ভাবে উত্তর লিখতে হবে? পুরো নম্বর পাওয়ার কৌশলই বা কী?
পরীক্ষা সংক্রান্ত যে নতুন নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে তাতে এই প্রথম পরীক্ষার্থীদের তল্লাশির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। পর্ষদের নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের দরজায় মোতায়েন থাকবে পুলিশ। তাঁরা প্রয়োজন মনে করলে, পড়ুয়াদের কাছে মোবাইল ফোন, বা অন্য কোনও বৈদ্যুতিন সামগ্রী রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন। এর পাশাপাশি নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্রে নজরদারির কাজে নিযুক্তরা যাতে গোটা ঘরে নজর রাখতে পারেন, সেজন্য ঘরের সব জানালা খোলা রাখতে হবে। অনুমান করা হচ্ছে, এইভাবে হয়তো আগামী দিন প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি রুখতে পারবে পর্ষদ।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”অর্পিতার পর এবার ‘রহস্যময়ী’ হৈমন্তী! After Arpita, now Haimanti’s name crops up” width=”835″>
মাধ্যমিকে দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষার দিন ইংরেজি প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি ছিল, মালদহের এক তৃণমূল নেতা এই কাজ করেছেন। পরীক্ষা শুরুর কিছু পরেই তাঁর কাছে প্রশ্নপত্র হোয়াটসঅ্যাপের চলে এসেছিল বলে দাবি করেছিলেন সুকান্ত। যদিও পর্ষদ সভাপতি সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন তা ‘ফাঁস’ নয়, পরিকল্পিত অন্তর্ঘাত। এমনকি পরে পর্ষদের তরফে বিবৃতি দিয়ে এও জানান হয়, প্রশ্ন কাণ্ড কী ভাবে হয়েছে তা সম্ভাব্য সূত্র তারা পেয়েছে।