কলকাতা: নিয়োগ ইস্যুতে এবার সরাসরি অভিযোগ উঠল জেলশাসকের বিরুদ্ধেই। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে চাকরিজীবীদের একাংশ অভিযোগ করেছে যে, নবান্নের নির্দেশই মানছেন না জেলাশাসক। সরকার চাকরি দিলেও তা মানতে নারাজ তিনি। মালদহের জেলাশাসকের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ ঘিরে এখন তোলপাড় রাজ্য। কিন্তু ঠিক কী অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে?
আরও পড়ুন- কীভাবে উত্থান মানিকের? জানেন কত সম্পত্তির মালিক তিনি?
বাংলার সহায়তা কেন্দ্রের ৮ জন চাকরিজীবীর বক্তব্য, ২০২০ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার বলেছিল কর্মরত অবস্থায় ৬০ বছর পর্যন্ত কাউকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যাবে না। কিন্তু তাদের দাবি, মালদহ জেলাশাসক নিজে ওই নির্দেশ মানছেন না। তিনি নিজে কয়েকজনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন। তারপরই এই ইস্যুতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিজীবীদের একাংশ। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে বিচারপতি শম্পা সরকার মালদহের জেলাশাসককে নির্দেশ দেন বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। তিনি এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে বলা হয়। তবে জেলাশাসক জানান, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোন এক্তিয়ার নেই তাঁর। এদিকে জানা গিয়েছে, নবান্নর সঙ্গে আলোচনা না করেই কয়েকজনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”‘মোটু টুকি’, ‘মোটকা দা টুকি’! টিটকিরির বিরাম্বনায় পার্থ! Jail inmates mock Partha Chatterjee” width=”560″>
জেলাশাসক জানিয়েছেন, যাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে, তাদের ১৬ অক্টোবর ২০২০ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগ করা হয়নি। অথচ চাকরিজীবীদের দাবি, তাদের নিয়োগপত্রে ১৬ অক্টোবর ২০২০ সালের বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে বলেই উল্লেখ করা রয়েছে। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে বিচারপতি শম্পা সরকার মালদহ জেলাশাসকের এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হন এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মুখ্য সচিবের কাছে এ বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেন। জানতে চান, রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী চাকরিজীবীরা সুযোগ পাবে না কেন। যদিও এ বিষয়ে কোনো রিপোর্ট তারা আদালতে জমা পড়েনি।
আরও পড়ুন- এক সাবান পরিবারের সবাই ব্যবহার করছেন? এতে ক্ষতি হচ্ছে নাতো?
এদিন মামলার শুনানিতে মামলাকারী প্রসেনজিৎ মল্লিকসহ ৮ জনের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানান, রাজ্য সরকারের এক দফতরের সিদ্ধান্ত আর এক দফতর মানতে চাইছে না। জেলাশাসক নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই বলে লিখিতভাবে স্বীকার করার পর তিনিই নিয়োগ বাতিল করেছেন। রাজ্য সরকারের কোনও সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ তিনি করতে পারেন না তাই এই কাজ অবৈধ বলেই দাবি। এই প্রেক্ষিতে বিচারপতির নির্দেশ, যাদের বরখাস্ত করা হয়েছে তাদের পুনরায় নিয়োগ করতে হবে।