কলকাতা: অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি খুব একটা যে সুখকর অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে তা একদমই নয়। ইতিমধ্যেই একাধিক শিশুর মৃত্যু ঘটেছে এবং বহু শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মুখ্যমন্ত্রী আগে এই বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত তিনি বলেছেন আতঙ্কিত না হতে। তাঁর কথায়, অযথা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে তাই হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে।কিন্তু সত্যি কি অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই? দিনদিন মহামারির আকার নিচ্ছে নাতো এটি, স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন- নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে কমিটি গঠন সুপ্রিম কোর্টের, ভূমিকা থাকবে প্রধানমন্ত্রীরও
আপাতত যে খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে জানা গিয়েছে, শহরের প্রায় সব হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগের শয্যা ভর্তি। বর্হিবিভাগেও প্রতি দিন ভিড় বাড়ছে। অ্যাডিনোভাইরাসের প্রকোপে শিশুদের নিয়ে অভিভাবকদের চিন্তার কোনও শেষ নেই। এদিকে পরপর মৃত্যুর খবর তাদের আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত আরও চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে শহরে। তাহলে এর থেকে মুক্তি কী ভাবে? চিকিৎসকমহল এই মুহূর্তে টেলি-মেডিসিনের ওপর জোর দিচ্ছে। তারা এও অনুমান করছে, যত বেশি গরম পড়বে, ভাইরাসের প্রভাব কমতে শুরু করবে। কিন্তু তা কেমন করে সম্ভব, সেটাও ব্যাখ্যা করেছেন তারা।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”অ্যাডিনো ভাইরাস থেকে কত সুরক্ষিত বড়রা? How safe are adults from adenovirus?” width=”835″>
স্বাভাবিক নিয়মে বারবার আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণেই ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত হয়। আর এই সময়টা ঠিক এমনই। সকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র গরম অনুভূত হলেও সন্ধ্যের পর থেকে হালকা একটা ঠান্ডা হাওয়া অনুভূত হচ্ছে, রাতের দিকে তো বটেই। এটাই সবথেকে খারাপ ইঙ্গিত। এই ধরনের আবহাওয়া যে কোনও ভাইরাসের টিকে থাকায় পক্ষে আদর্শ। তাই চিকিৎসকরা মনে করছেন, পুরোপুরি গরম পড়লে অ্যাডিনোর প্রকোপ কমবে।