লস অ্যাঞ্চেলস: অস্কারের মঞ্চে ভারতের জয়৷ ৯৫তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে ভারতের হয়ে প্রথম অস্কার জিতে নিল ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’। ‘বেস্ট ডকুমেন্টরি শর্টস’ বা সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিল কার্তিকি গনসালভেস পরিচালিত এবং গুনীত মঙ্গা প্রযোজিত এই ছবি। এই বিভাগে মনোনয়ন পাওয়া ‘হাউ টু মেজার আ ইয়ার’, ‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’, ‘দ্য মার্থা মিচেল ইফেক্ট’- এর মতো ছবিকে হারিয়ে পুরস্কার জিতে নিল তামিল ভাষার এই তথ্যচিত্র। ভারত থেকে এ বছর তিন-তিনটি মনোনয়ন ছিল। এস এস রাজামৌলীর ‘আরআরআর’ ছবির ‘নাটু নাটু’ গানটি মনোনয়ন পেয়েছিল সেরা গানের বিভাগে। ফিচার তথ্যচিত্র বিভাগে ছিল বাঙালি পরিচালক শৌনক সেনের ছবি ‘অল দ্যাট ব্রিদ্স’। যদিও পুরস্কার ঘরে আনতে পারেননি শৌনক। এছাড়াও মনোনয়ন পায় স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’। অস্কার জয়ের পর ইনস্টাগ্রামে গুনীত লেখেন, ‘‘এই জয় সব নারীর জন্য।’’
আরও পড়ুন- জল্পনার অবসান, সেরা মৌলিক গানের বিভাগে অস্কার জিতে নিল কীরাবাণীর ‘নাটু নাটু’
প্রসঙ্গত, ‘দ্য এলিফেন্ট হুইস্পারার্স’, প্রথম ভারতীয় ছবি যা অস্কার আনল ভারতে। তবে এর আগেও এই বিভাগে বেশ কিছু ভারতীয় তথ্যচিত্র মনোনীত হয়েছিল৷ ১৯৬৯ এবং ১৯৭৯ সালে স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রের জন্য মনোনয়ন পেয়েছিল ‘দ্য হাউজ দ্যাট আনন্দ বিল্ট’ এবং ‘অ্যান এনকাউন্টার উইথ ফেসেস’। শেষমেশ ২০২৩-এ অস্কার এল দুই নারীর হাত ধরে। হস্তীশাবক রঘু ও দুই মাহুতের জীবনযাপনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে ছবি তথ্যচিত্রের গল্প। এক দুর্ঘটনার পরে রঘুকে নিয়ে আসা হয় বোমান ও বেলির কাছে, তাঁরাই রঘুর ক্ষত সারিয়ে তাকে বড় করে তোলে। বোমান ও বেলির গোটা জীবটাই আবর্তিত হয় এই হস্তীশাবককে ঘিরে। তিনজনের সম্পর্কের রসায়ন পর্দায় পরিবেশ করেছেন পরিচালক কার্তিকি গনসালভেস। এই ছবিটি দেখা যাচ্ছে নেটফ্লিক্সে। অস্কার জয়ের পর পরিচালক কার্তিকি বলেন, ‘‘এই পুরস্কার আমার মাতৃভূমি ভারতের জন্য।’’
গুনীত মঙ্গা টুইট করে বলেন, ‘ভারতীয় প্রোডাকশন হিসেবে আমরা প্রথম অস্কার জিতেছি! দুই মহিলা এই কাজ করে দেখালেন! আমি এখনো কাঁপছি।’