‘এসএসসি কোর্টের সঙ্গে খেলছে, প্রয়োজনে সমস্ত নিয়োগ খারিজ করব!’ চরম ভর্ৎসনা বিচারপতি মান্থার

‘এসএসসি কোর্টের সঙ্গে খেলছে, প্রয়োজনে সমস্ত নিয়োগ খারিজ করব!’ চরম ভর্ৎসনা বিচারপতি মান্থার

a940b42491c7a485bd2949cf8d3c5f76

 কলকাতা: ২০১১ সালে আপার প্রাইমারি  পরীক্ষায় ভুল ও সিলেবাসের বাইরের প্রশ্ন করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)৷  ভুল প্রশ্নের জন্য প্রার্থীদের নম্বর দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু, সেই নম্বর দেয়নি এসএসসি৷ আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় কমিশনকে চরম ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা৷ এসএসসি-র চেয়ারম্যানকে তাঁর নির্দেশ, তিনি যেন আগামী শুক্রবার নতুন রিপোর্ট নিয়ে সশরীরে আদালতে হাজিরা দেন৷ 

আরও পড়ুন- নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার SSC-র আইনকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হাই কোর্টে

এদিন কটাক্ষ করে বিচারপতি মান্থা বলেন, ‘‘আপনারা কোর্টের সঙ্গে খেলছেন। আপনারা নিয়োগ করছেন, অথচ আপনারাই ভুল প্রশ্ন করছে। সবটাই পরিকল্পিত। আমার বলতে দ্বিধা নেই যে, এসএসসি একটা প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলছে।’ কমিশনের প্রতিটি পদক্ষেপ সন্দেহজনক বলেও মন্তব্য বিচারপতির।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই আচরণের জন্যেই জনমানসে কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে৷ বিচারপতি মান্থার হুঁশিয়ারি, ‘‘প্রয়োজনে সব নিয়োগ খারিজ করে দেব, সব নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ রয়েছে৷’’এখানে থেকে না থেকে বিচারপতি মান্থা আরও বলেন, ‘‘আমাকে বাধ্য করবেন না আরও কড়া পদক্ষেপ করার জন্যে। আপনারা কী ভেবেছেন? আপনারা তো আদালতের নির্দেশের উপরে খবরদারি করছেন! আগেও বলেছি, দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু, আজও দেখছি একই পথে হাঁটছে এসএসসি।’’ শুনানি শেষে আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, এই মামলায় এসএসসি-র চেয়ারম্যান যে হলফনামা দিয়েছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয়। 

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় সিলেবাস-এর বাইরে থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে মামলা করেন ৮৩জন প্রার্থী। মামলাকারীদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। গত বছর জুন মাসে মামলাকারীদের ভুল প্রশ্নের নিরিখে নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। কিন্ত, এসএসসি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সিলেবাসের বাইরের প্রশ্নে নম্বর দেওয়া হবে না৷ কারণ তাহলে যারা সেই প্রশ্ন অ্যাটেন্ড করেনি, তাদেরও নম্বর দিতে হবে। এতে তালিকায় বড় পরিবর্তন আসবে। কিন্তু আদালত ৮৩ জন মামলাকারীর ব্যাপারে নম্বর বাড়ানোর নির্দেশ দেন৷ যা এখনও মানা হয়নি৷