কলকাতা: নিয়োগ কাণ্ডে দুর্নীতির শিকড় ঠিক কতদূর ছড়িয়েছে তার আন্দাজ এখনও পর্যন্ত পায়নি তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু একটা আভাস যে তারা পেয়েছে তা স্পষ্ট। অন্তত ইডির দাবি শুনে তাই মনে হয়। দুর্নীতিতে যুক্ত হিসেবে সদ্য তারা গ্রেফতার করেছে প্রমোটার অয়ন শীলকে। তাঁকে জেরা করার পর বিস্ফোরক কিছু তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। এদিন আদালতে সেই প্রেক্ষিতেই তারা দাবি করেছে, রাজ্যের প্রায় সব দফতরেই দুর্নীতি হয়েছে!
আরও পড়ুন- কোথায় কেষ্ট-কন্যা? বোলপুর ছেড়েছেন, পৌঁছলেন না দিল্লি, ইমেল পাঠিয়ে অন্তরালে সুকন্যা
সোমবার আদালতে ইডির আইনজীবীর দাবি, ৬০ টি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। অন্তত ৫ হাজার জনকে বেআইনিভাবে টাকার বিনিময় চাকরি দেওয়া হয়েছে। তাঁর এও বক্তব্য, রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে আছে চাকরি দুর্নীতির চক্র। এই পরিপ্রেক্ষিতেই বড় মন্তব্য করে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে শিক্ষা দুর্নীতির সোনার খনিতে প্রবেশ করেছেন তারা। যতদিন এগোবে, জানা নেই যে কত সোনা মিলবে। পাশাপাশি এও দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলের। আর তাদের মধ্যে ‘সেতু’ ছিলেন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ডিএ-র ধর্না মঞ্চে গিয়ে আক্রান্ত নওশাদ সিদ্দিকী! Naushad Siddiqui attacked at DA protest venue” width=”853″>
ইডি এটাও জানিয়েছে যে, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হুগলির অন্য তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন খতিয়ে দেখে এবং তাঁর সঙ্গে কথা বলেই এ বিষয়ে জানতে পেরেছে তারা। এক কথায়, ওই তিনজনের যোগসূত্রের কথা বলেছেন খোদ শান্তনু। গোয়েন্দা আধিকারিকদের স্পষ্ট বক্তব্য, দুর্নীতির টাকা অয়ন শীলের হাত থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছত। এছাড়া কুন্তল ঘোষের পাশাপাশি আরও অনেক এজেন্ট এর মধ্যে জড়িয়ে যারা অয়ন এবং পার্থর মধ্যে যোগসাজস রাখার কাজ করতেন।